অল্প রানের ম্যাচেও কুমিল্লার ঘাম ঝরানো জয়
১০০ রানের আগেই গুটিয়ে যায় প্রতিপক্ষ সিলেট সানরাইজার্স। উইকেট যে ধীর গতির, সেটা বুঝতে পারলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নির্ভার ছিল। কিন্তু ছোট লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমেও ঘাম ছুটে গেল তাদের। কষ্টার্জিত জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মিশন শুরু করল কুমিল্লা। রোবাবার সিলেটকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বিপিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই উল্টো পথে হাঁটতে থাকে সিলেট সানরাইজার্স। মুস্তাফিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, ম্যাচসেরা নাহিদুল ইসলামদের দারুণ বোলিংয়ে ১৯.১ ওভারে ৯৬ রানে অলআউট হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।
জবাবে এই রান পাড়ি দিতেও ঘাম ছুটে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। সাবধানী শুরুর পরও মাঝে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দলটি খুব কষ্টে উদ্ধার পায়। ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেটের জয় পায় ইমরুল কায়েসের দল।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও ফাফ ডু প্লেসি। যদিও তাতে লাভ হয়নি। চতুর্থ ওভারে ১৩ রানের মাথায় ডু প্লেসিকে ফিরিয়ে দেন সিলেটের স্পিনার সোহাগ গাজী। ডেলপোর্ট ধীর স্থিরভাবে খেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৯ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন।
মুমিনুল হককে সাবলীল মনে হলেও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি। ২০ বলে ১৫ রান করে আউট হন তিনি। তেড়েফুঁরে শুরু করা কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৪ বলে ১০ রান করে থামেন। ৮.৩ ওভারে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়ে যায় দলটি। দলীয় ৫৫ রানে আরিফুল হকের বিদায়ে সেই চাপ আরও বাড়ে।
এরপর নাহিদুল ইসলাম ও করিম জানাত ২৭ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের পথ সহজ করেন। যদিও এই সময়ই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে আবারও দিক হারায় কুমিল্লা। নাহিদুল ১৬ ও করিম ১৮ রান করেন। শহিদুল ইসলাম আউট হলে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় তারা। শেষে মাহিদুল ইসলামের ৯ ও তানভীর ইসলামের ৩ রানে জয় নিশ্চিত হয় কুমিল্লার। সিলেটের স্পিনার নাজমুল অপু সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান সোহাগ গাজী ও মোসাদ্দেক। তাসকিন আহমেদ নেন একটি উইকেট।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট সানরাইজার্স পুরো ইনিংসজুড়ে ধুঁকেছে। তাদের কোনো ব্যাটসম্যানই পারেননি দলের বিপদে ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হতে। সিলেটের মাত্র একজন ব্যাটসম্যান ২০ রান ছুঁতে পেরেছেন। দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর নিয়মিত ধারায় উইকেট হারিয়ে ১০০ রানের আগেই গুটিয়ে যায় সিলেট।
৯৬ রানের মধ্যে ১৯ রানেই অতিরিক্ত থেকে আসে, সিলেটের ব্যাটসম্যানরা মিলে করেন মাত্র ৭৭ রান। সর্বোচ্চ ২০ রান করেন ওপেনার কলিন ইনগ্রাম। এ ছাড়া রবি বোপারা ১৭ ও সোহাগ গাজী ১২ রান করেন। এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুন, অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, অলোক কাপালিদের কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
অসাধারণ বোলিং করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসার ৪ ওভারে ১৫ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন। ৩.১ ওভারে ১৫ রানে ২ উইকেট নেন আরেক পেসার শহিদুল ইসলাম। নাহিদুল ইসলামের শিকারও ২ উইকেট। এ ছাড়া তানভীর ইসলাম, মুমিনুল হক ও করিম জানাত একটি করে উইকেট নেন।