‘টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেটে রান করা কঠিন’
আগে ব্যাটিং করা দল ৯৬ রানেই অলআউট। এই রান তুলতে গিয়ে প্রতিপক্ষ দলেরও বেহাল দশা। লেগে যায় ১৮.৪ ওভার, উইকেট হারাতে হয় ৮টি। শনিবার সিলেট সানরাইজার্স-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচের চিত্র এটা। অবশ্য ২১ জুনয়ারি মাঠে গড়ানো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এমনই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হচ্ছে।
দিনের প্রথম ম্যাচ মানেই যেন রান খরা। উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও এমন দশা হয়েছিল, ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। এই রান তুলতে সাকিব আল হাসানের দল ফরচুন বরিশালেরও লেগে যায় ১৮.৪ ওভার। সব মিলিয়ে বরাবরের মতোই বিপিএলে চলছে রান খরা। তাই দ্বিতীয় দিনেই মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে দিলেন সিলেটের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়।
উইকেট নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানানোর আগে দলের স্কোর নিয়ে হতাশার কথা জানান বিজয়। ৯৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পেছনে তাড়াহুড়ো করার ব্যাপারটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রথমে তো আমরা দেখেছি, রানটা একটু কম হয়ে গেছে। উইকেট অনুযায়ী আমরা একটু হলেও তাড়াহুড়ো করেছি। ওই জায়গায় আমরা যদি একটু সময় নিতে পারতাম, আর কিছু রান করতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। আর ২০টা রান বেশি হলেও খেলাটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারতো।'
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার বিষয়টি উল্লেখ করলেও বিজয়ের মূল অভিযোগ উইকেট নিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেটে রান করা কঠিন বলে মনে করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান, 'উইকেটটা টি-টোয়েন্টির মতো মনে হয়নি। ব্যাটিং করা বেশ কঠিন ছিল। উইকেট ভেজা ছিল, টার্ন ছিল। যে কারণে স্বস্তি খেলা যায়নি। দুটি দল একইভাবে খেলেছে। আমার কাছে কঠিনই মনে হয়েছে। সবার কাছেই আসলে কঠিন মনে হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেট থাকলে রান বের করা একটু কঠিন। এ কারণেই আমার মনে হয়েছে রান হয়নি।'
২ উইকেটের হারের এই ম্যাচে টস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে বলে মনে করেন বিজয়। তার ভাষায়, 'উইকেট তো আমরা সবাই দেখেছি, প্রত্যাশা অনুযায়ী ওই রকম পাইনি। টসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যদি টসে জিততাম, আমরাও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতাম। আপনারা সবাই দেখেছেন কী পরিমাণ টার্ন হচ্ছিল। বল কাট করছিল। কঠিন ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য। অনেকখানিই কঠিন ছিল।'