মুশফিকের ব্যাটে রান, খুলনা টাইগার্সের দ্বিতীয় জয়
ঘরের মাঠের দল, দারুণ উইকেট। তবু আগে ব্যাটিং করতে নেমে পুরো ইনিংসজুড়ে ধুঁকলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তিনজন ব্যাটসম্যানের দুই অঙ্কের রানে মাঝারি পূঁজি মেলে স্বাগতিক দলটির। যা হেসে খেলেই পাড়ি দিল মুশফিকুর রহিমের দল খুলনা টাইগার্স। দারুণ এক জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করলো খুলনা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবার চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ভালো উইকেট পেয়েও বড় রান তুলতে পারেনি পারেনি ঘরের মাঠের দলটি। থিসারা পেরেরা, ফরহাদ রেজাদের দারুণ বোলিংয়ে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানেই থামে মেহেদী হাসান মিরাজের দলের ইনিংস।
জবাবে এই রান পাড়ি দিতে কোনো বেগই পেতে হয়নি খুলনা টাইগার্সকে। আন্দ্রে ফ্লেচার, অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সেকুগে প্রসন্নের ব্যাটে ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটেই জয় তুলে নেয় তারা। তিন ম্যাচে এটা খুলনার দ্বিতীয় জয়। তিন ম্যাচে দুই জয়ে দারুণ ছন্দে থাকা চট্টগ্রাম চতুর্থ ম্যাচে ঘরের মাঠে এসে হারলো।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে খুলনার শুরুটা ভালো হয়নি। করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্রথম ম্যাচ খেলা নামা সৌমৗ সরকার দলীয় ২ রানেই বিদায় নেন। শুরুর ধাক্কা সামলে নেন আন্দ্রে ফ্লেচার ও রনি তালকদার। দ্বিতীয় উইকেটে ৫০ রান যোগ করেন তারা। এ সময় ১৭ রান করে আউট হন রনি।
এরপর ফ্লেচার-মুশফিক মিলে অনেকটা পথ পাড়ি দেন। তাদের জুটিতে ৯৮ রানে পৌঁছে যায় খুলনা। ৪৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৫৮ রান করে আউট হন ফ্লেচার। বাকি কাজটুকু সেরেছেন মুশফিক ও প্রসন্ন। ৪৫ রানের জুটি গড়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে আউট হন প্রসন্ন। লঙ্কান এই অলরাউন্ডার ১৫ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২৩ রান করেন।
খুলনার অধিনায়ক মুশফিক ৩০ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসটা খেলার পর মুশফিক স্বস্তির নিশ্বাসই ফেলছেন হয়তো। প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৬ ও ১১ রান করেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। এই ম্যাচের আগে বড় রানে ফেরার ঘোষণা দিয়ে সেটা করেও দেখালেন তিনি। চট্টগ্রামের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি এবং শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিং করতে নামা চট্টগ্রামের হয়ে কেবল তিনজন ব্যাটসম্যান রান করতে পেরেছেন। বাকিদের কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ৩ রানেই ওপেনার কেনার লুইসকে হারায় দলটি। অবশ্য শুরুর চাপ দলকে বুঝতে দেননি উইল জ্যাকস ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা।
জ্যাকসের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ২৩ বলে ৪টি চারে ২৮ রান করেন ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান। এরপর অন্য পাশে নিয়মিত ধারায় উইকেট পড়তে থাকলেও আফিফ কেলে যেতে থাকেন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন। নাঈম ইসলাম ১৯ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
চট্টগ্রামের এই তিন ব্যাটসম্যানই কেবল দুই অঙ্কের রান করেন। এদিন কেনার লুইস ১, সাব্বির রহমান ৪, অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ৬, নিয়মিত রান করে আসা বেনি হাওয়েল ৫ ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী ২ রান করেই বিদায় নেন। খুলনার লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩টি উইকেট নেন। এ ছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি, নাবিল সামাদ, শেখ মেহেদি হাসান, সেকুগে প্রসন্ন ও ফরহাদ রেজা একটি করে উইকেট নেন।