হাফ সেঞ্চুরি করেই লিটনের বিদায়, তামিমের আক্ষেপ
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শুরুর পর্বটা দারুণ হলো বাংলাদেশের। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ভালো শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। সাবধানী শুরুর পর উইকেটে থিতু হয়ে দুজনই দারুণ ব্যাটিং করেন। তাদের ব্যাটে ২১.৩ ওভারে ৯৫ রান তোলে বাংলাদেশ। এরপরও অবশ্য দুজনই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
দলীয় সেঞ্চুরির ঠিক আগে আন্দিলে ফেলুকুয়াওয়ের এলবিডব্লিউর শিকারে পরিণত হয়ে থামেন তামিম। ৬৭ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৪১ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। লিটন অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৬৬ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
সাবধানী শুরুর পর সাবলীল ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন লিটন। ১৯তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ডানহাতি এই ওপেনার। শেষ চার বলে এক ছক্কা ও তুই চারসহ ১৫ রান তোলেন লিটন। এই ধারায় থেওকে পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরিও।
এরপরও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় তাকে। আউটের পর লিটনের শারীরিক ভাষা বলছিল, নিজের আউট বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। কেশব মহারাজের ডেলিভারিটি পড়েই লো হয়ে গিয়ে লিটনের স্টাম্প ভেঙে দেয়। লিটন তখন সাকিব আল হাসানের দিকে তাকিয়ে যেন এটাই বলছিলেন, 'এটা কী হলো ভাই!'
দারুণ শুরুর পরও অবশ্য হঠাৎ-ই দিক হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তামিমের বিদায়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই থামেন লিটন। এরপর মুশফিকুর রহিমও ঠিকতে পারেননি। কেশবের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন তিনি। ১২ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবের সঙ্গে যোগ দিয়ে খেলছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ৩১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে বাংলাদেশে সংগ্রহ ১৪০ রান। সাকিব ২৪ ও রাব্বি ৫ রানে ব্যাটিং করছেন।