দেশে ফিরে শ্রীলঙ্কা সিরিজ খেলা নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত জানালেন সাকিব
কদিন আগে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, শ্রীলঙ্কা সিরিজ খেলার ব্যাপারে সাকিব আল হাসানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা। বাঁহাতি অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছিল বলে জানান তিনি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে বুধবার দেশে ফিরে সাকিব জানালেন, এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবেন তিনি।
বিসিবি সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় থাকলেও সাকিব জানালেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলা নিয়ে কোনো সন্দেহই ছিল না। এ ছাড়া বর্তমানে পারিবারিক কোনো জটিলতা না থাকায় ইতোমধ্যে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি।
এই সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন সাকিব। এবারের আসরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব তার ঠিকানা ছিল। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটি সুপার লিগে উঠতে না পারায় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু সাকিবের খেলার ইচ্ছা থাকায় ঠিকানা বদলে নিয়েছেন তিনি। মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জে খেলবেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। চারটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হবে তার।
এক ঘণ্টার মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে সাকিব বলেন, 'একদম হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া, মানে এক ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্তটি নেওয়া। ভাবলাম, যেহেতু একটা সুযোগ আছে খেলার, সামনে যেহেতু শ্রীলঙ্কা সিরিজটাও আছে, তো এখন যদি কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারি, আমার জন্য প্রস্তুতি ভালো হবে।'
গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজের পর পারিবারিক কারণে দেশে ফেরেন সাকিব। এরপর কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তার, ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। মাঝে লম্বা বিরতি হওয়ায় মাঠে ফেরার তাড়া অনুভব করছেন সাকিব, 'যেহেতু বেশ অনেক দিনের একটা গ্যাপ হয়ে গেল, প্রায় এক মাসের মতো হয়ে গেল যে ক্রিকেট খেলি না। যদি এই চারটা ম্যাচ খেলতে পারি, খেলার মধ্যে আসার একটা সুযোগ হলো। তো সে জন্যই সুযোগটি নেওয়া।'
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ৮ মে বাংলাদেশ আসবে শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্ট ১৫ মে চট্টগ্রামে এবং দ্বিতীয় টেস্ট ২৩ মে মিরপুরে শুরু হবে। এই সিরিজে খেলবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, 'এটায় সন্দেহের তো কোনো ইয়ে ছিল বলে আমার মনে হয় না। হ্যাঁ, যদি কোনো ইমার্জেন্সি থাকত, অবশ্যই সেটি অন্য জিনিস। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই খেলব।'
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকতেই পরিবারের কয়েকজন সদস্যের অসুস্থতার খবর পান সাকিব। এ কারণেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। কয়েকদিন দেশে থেকে বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অউব্রিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। এর কয়েকদিন পর সাকিবের শাশুড়ি মারা যান। সব মিলিয়ে মানসিকভাবে কঠিন সময়ের মধ্যেই ছিলেন তিনি।
এ ছাড়া শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যেতে চাননি সাকিব। তবে আপাতত মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে আছেন বলে জানালেন তিনি। সাকিবের ভাষায়, 'এখন অবশ্যই বেটার ফিল করছি। ফোকাসটা এখন ক্রিকেটে রাখতে চাচ্ছি। চেষ্টা থাকবে সামনে যত ম্যাচ আছে, সবই যেন খেলতে পারি।'