টানা দুই সেঞ্চুরিতে দুর্বার মুশফিক
দুই টেস্টের চার ইনিংসে ৫৯ রান, সর্বোচ্চ ৫১। মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স এলে যে কেউই হতাশ হবেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজের পর তাই তার ফর্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলা হয়েছে কোথায় হারালেন মুশফিক? উত্তরটা দিতে দেরি করেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। পরের সিরিজেই ব্যাটকে পরিণত করলেন তরবারিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি করা মুশফিক মিরপুরে রাজত্ব কায়েম করলেন।
দলের দুঃসময়ে কাণ্ডারীর ভূমিকায় হাজির হয়ে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান তুলে নিলেন আরেকটি সেঞ্চুরি। চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ, এর আগেই টেস্ট ড্র হয়। সেদিক থেকে ১০৫ রানের ইনিংসের পর এটাই মুশফিকের প্রথম ইনিংস, অর্থাৎ টানা দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন তিনি। যা মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম।
অথচ চাপের বোঝা মাথায় নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছিল মুশফিককে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। তামিম ইকবালও শূন্য রানে ফেরেন। ২৪ রানে যেতে যেতে নেই আরও ৩ উইকেট।
২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব ওঠে মুশফিকের কাঁধে। যোগ্য সঙ্গী হিসেবে পান লিটন কুমার দাসকে। চাপ কাটিয়ে উঠতে তেমন বেগই পতে হয়নি এই জুটিকে। দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচের চেহারা পাল্টে নিজেদের শিবিরে স্বস্তির হাওয়া বুলিয়ে দেন তারা, রেকর্ড গড়া জুটি।
এই জুটি গড়ার পথে লিটন তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর কিছুক্ষণ পর সেঞ্চুরির কিানায় পৌঁছান মুশফিকও। ২১৮ বলে ১১টি চারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান তিনি। এটা তার নবম টেস্ট সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১টি সেঞ্চুরির মালিক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। ১০টি সেঞ্চুরি নিয়ে দুই নম্বরে তামিম ইকবাল।