পর্তুগালের বড় জয়ে রোনালদোর জোড়া গোল
বল দখলে সমানে সমান লড়াই হলেও আক্রমণে বেশি দাপট দেখালো পর্তুগাল। অবিরত আক্রমণে নিজেদের জাল সুরক্ষিত রাখতে পারলো না সুইজারল্যান্ড। তাদের পেয়ে জ্বলে উঠলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জালের দেখা পেলেন উইলিয়াম কারভাইয়ো ও জোয়াও কানসালোও। বড় জয়ে উয়েফা নেশন্স লিগ শুরু করলো পর্তুগাল।
রোববার রাতে লিসবনে 'এ' লিগের ২ নম্বর গ্রুপের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পর্তুগাল। স্বাগতিকদের পক্ষে জোড়া গোল করেন রোনালদো। অন্য দুই গোলদাতা কারবাইয়ো ও কানসেলো।
এই হারের পর তিন বছর আগের কথা মনে পড়তে পারে সুইজারল্যান্ডের। ঠিক এই দিনেই রোনালদোর হ্যাটট্রিকে কপাল পুড়েছিল সুইসদের। নেশন্স লিগের প্রথম আসরের ফাইনালসের শেষ চারে পর্তুগালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরেছিল তারা। এই ম্যাচেও রোনালদোর হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে পারতেন। কিন্তু সহজ সুযোগ নষ্ট করায় হ্যাটট্রিক পাননি পর্তুগিজ অধিনায়ক।
ম্যাচে বল দখলে দুই দলই সামর্থ্য দেখিয়েছে। পর্তুগাল ৫৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে, সুইজারল্যান্ড ৪৫ শতাংস সময়। তবে আক্রমণে অনেক এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। গোলমুখে ১৮টি শট নেয় তারা, এর মধ্যে ১০টি ছিল লক্ষ্যে। সুইসদের নেওয়া ৫টি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে।
১৫তম মিনিটেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল। রোনালদোর নিচু ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালের নিচ দিয়ে গিয়ে সুইজারল্যান্ডের আরেকজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি দলকে, ফিরতি বল সহজেই লক্ষ্যে পাঠান কারবাইয়ো।
প্রথম গোল দিয়ে গতি বেড়ে যায় পুর্তগালের, একর পর এক আক্রমণ সাজাতে থাকে তারা। ৩৫তম মিনিটে আসে মিলে যায় গোলের ঠিকানা। ব্রুনো ফার্নান্দেস ডি-বক্সে দিয়েগো জটাকে পাস বাড়ান। জটা বল বাড়ান রোনালদোকে, জোরালো শটে গোল আদায় করেন তিনি।
৩৯ তম মিনিটে সুইস গোলরক্ষকের হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া বল পেয়ে দ্বিতীয় গোল করেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে তার গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১১৭টি। ৬৮তম মিনিটে গোল করে পর্তুগালের ৪-০ গোলে বড় জিয় নিশ্চিত করেন কানসালো। গ্রুপ পর্বে দুই রাউন্ড শেষে পর্তুগাল ও চেক রিপাবলিকের পয়েন্ট সমান, দুই দলেরই পয়েন্ট ৪। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে রোনালদোরা।