বিশ্বকাপ ট্রফি এখন বাংলাদেশে
বেশ আগেই ঘোষণাটা দেওয়া হয়, তাই প্রস্তুতি নেওয়াই ছিল। সঙ্গে ছিল সোনালী শিরোপা দেখার অপেক্ষা। যে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলাটা এখনও স্বপ্নের মতো, সেই বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে উন্মাদনা থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। ট্রফি নিয়ে উন্মাদনায় মাতার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ফুটবলভক্তরা। বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকা এসেছে ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি।
বিশ্বকাপ ট্রফির আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরের চেহারাই যেন পাল্টে গিয়েছিল। বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয় ভিআইপি লাউঞ্জে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন তৎপর। লাউঞ্জ ঝকঝকে রাখতে কিছুক্ষণ পরপরই ঝাড়পোছ করা হচ্ছিল। বাইরে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতারে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরটিকে সামনে রেখে কোকাকোলার আয়োজনে বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্ব ভ্রমণ শুরু হয়েছে। দুবাই থেকে গত ১২ মে বিশ্বকাপ ট্রফির ভ্রমণ শুরু হয়। ৫৬টি দেশ ঘোরার পথে কোকাকোলার উদ্যোগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহায়তায় ট্রফিটি বাংলাদেশে এসেছে।
বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে এসেছে পাকিস্তান থেকে। বিশেষ একটি বিমানে করে ট্রফিটি নিয়ে আসা হয়। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ১১টায় ট্রফি পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ট্রফি বহনকারী বিমানটি ২৫ মিনিট দেরি করে পৌঁছায়। ট্রফিটির সঙ্গে এসেছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান কারাম্বু। এ ছাড়াও ফিফার সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছে।
ট্রফি নিয়ে বিমান থেকে নেমে তা উন্মোচন করেন কারাম্বু। এরপর ট্রফি নিয়ে ছবি তোলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এরপর ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে হোটেলে। সেখানেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রাখা হবে বিশ্বকাপের ট্রফি।
এর আগেও বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে এসেছে। তবে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আসা ট্রফিটি ছিল রেপ্লিকা। এবার এলো আসল ট্রফি। এ কারণে এবার করা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সবখানে। বিশ্বকাপ ট্রফি আজ বঙ্গভবন ও গণভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি দেখবেন ট্রফি।
বৃহস্পতিবার সাধারণ মানুষ বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার সুযোগ পাবেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নির্বাচিত আড়াই হাজার দর্শক হোটেলে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার ও ছবি তোলার সুযোগ পবেন। এরপর বিকেলে আর্মি স্টেডিয়ামে হবে কনসার্ট। যেখানে গান গাইবেন নগর বাউলের জেমস, নেমেসিস, ওয়ারফেইজ ও কোক স্টুডিও বাংলার শিল্পীরা।
বিশ্বকাপ ট্রফির আগমন উপলক্ষে আজ এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। নির্বাচিত অতিথিদের সঙ্গে কয়েকজন নারী পোশাককর্মী থাকবেন এই নৈশভোজে। বিশ্বকাপের জার্সি তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ, এ কারণে নারী কর্মীদের সম্মানে কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।