জুলাই মাসে ৪৫০ জন নারী নির্যাতিত
২০১৯ সালের জুলাই মাসে মোট ৪৫০ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৭০টি। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয় ১৩৭ জন, গণধর্ষণের শিকার হয় ২৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ১০ জনকে এবং ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় একজন। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করতে বাধ্য হয়েছে ৩০ জন।
মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত রিপোর্টে বলা হয়, পরিষদ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে গত জুলাইয়ে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের এ সংখ্যা তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশের ১৪ টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের আধেয় বিশ্লেষনের জরিপ পরিচালনা করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
এতে আরো বলা হয়, এ সময়ে শ্লীলতাহানির শিকার হয় ১০ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ২২ জন। এসিড দগ্ধের শিকার দুইজন। অগ্নিদগ্ধের শিকার চারজন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৬টি এবং অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে একটি।
পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে একজনকে। বিভিন্ন কারণে ৫৯ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে এবং তিনজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১০ জন, এরমধ্যে হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৬ জন। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দুইটি। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে ৯ জন, এরমধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে একজন।
বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৬ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। এরমধ্যে আত্মহত্যায় প্ররোচনার শিকার আটজন এবং ২১ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ২৫টি। এরমধ্যে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়েছে ১১টি।
এ ছাড়া ফতোয়ার শিকার হয়েছে তিনজন এবং নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮ জন।