ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির অবসান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির অবসান হলো আজ। টানা ছয় দিনের কর্মসূচির পর প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্বস্ত হয়ে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সাত কলেজের অধিভুক্তির সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে কমিটি গঠন করেছে, সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
“তবে আমাদের অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে। প্রশাসনের দেওয়া আশ্বাসকে পর্যবেক্ষণে রেখে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করব।”
এ দাবিতে আগামী রবিবার (২৮ জুলাই) রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
সাত কলেজের অধিভুক্তি নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে কার্যকর সুপারিশ দিতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২১ জুলাই) সকালে ৮টার আগেই প্রবেশ পথে তালা লাগায় তারা। একইসাথে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন।
পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, ৭ কলেজ অধিভুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। অধিভুক্তির এ ব্যবস্থা অকার্যকর বলে দাবি তাদের।
সরকারি সাতটি কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
ঢাবি অধিভুক্ত ওই সাত কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
প্রসঙ্গত গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন,“আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পর এর একটা যৌক্তিক সমাধান হবে।”
এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচির অবসান ঘোষনা করেন শিক্ষার্থীরা।