তিতাসের মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি পুণ:গঠন
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি না ছাড়ায় স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঘাট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে কি না, তা জানাতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি পুনঃগঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা।
পুনঃগঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির আহবায়ক হলেন-নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক। সদস্যরা হলেন- যুগ্ম সচিব শাহনওয়াজ দিলরুবা খান এবং উপসচিব এস এম শাহ্ হাবিবুর রহমান হাকিম।
কমিটিটি সোমবার (২৯ জুলাই) থেকে কার্যকর থাকবে। তাঁদের আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার(২৯ জুলাই) চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল হক।
এর মধ্যে গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) কমিটি পুনঃগঠনের একটি অফিস আদেশ জারি করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডলের গাড়ির অপেক্ষায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি বসে থাকে। এতে ঘাটে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার চার দিন পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিতাসের মৃত্যু নিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হয়। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) হাইকোর্টে ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন লিগ্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড পিপলস রাইটসের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জহির উদ্দিন।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি দেন।
শুনানিতে অতিরিক্ত সচিবের নিচে নন, এমন পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে তদন্ত করে তা তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করারা নির্দেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ । জনপ্রশাসন সচিবের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়ে।
আগামী ২৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন আদালত।
সেই সঙ্গে, তিতাসের পরিবারকে কেন তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।
এসময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ ভিভিআইপি নয় এবং তাদের চলাচলের জন্য নিরাপত্তার ব্যাপারটি জড়িত থাকে। যারা সরকারি চাকরি করেন তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।