বাংলাদেশের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসায় নয়াদিল্লী
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভূয়সী প্রশংসা করে ভারত বাংলাদেশকে ধর্মীয় সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশী মানুষ কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে মিলিমিশে ধর্মীয় সম্প্রীতির সাথে বাস করছে তা প্রত্যক্ষ করতে বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশ সফর করা উচিৎ।’
বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম বৈঠকে অংশ নিতে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিল্লী পৌঁছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল । বৈঠকের শুরুতে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অকাল মৃত্যুতে মাননীয় মন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মোদি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত কর্মসূচির অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি টানা তিন মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী, জঙ্গী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেন ভারতসহ অন্যান্য দেশের ক্ষতি করতে না পারে সে লক্ষে বাংলাদেশের গৃহীত নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সহায়তা চাওয়া হলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ভারত সরকার রোহিঙ্গা সমস্যাটি ইতোমধ্যেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছে। ভারত মনে করে সমস্যাটি অবশ্যই সমাধান করতে হবে।
মোদি বাংলাদেশে ঠাঁই নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আবারও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে বাংলাদেশী মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকে আসাদুজ্জামান উভয় দেশের সীমান্তে মাদকসহ সকল চোরাচালান বন্ধে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য অপরাধ রোধে একটি নিরাপদ ও কার্যকর সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিমসটেক এই অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়ন কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মোদি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. মো. জাভেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।