মৃতের সংখ্যা বাড়ায় ফিলিপাইনে ডেঙ্গুকে মহামারি ঘোষণা
ফিলিপাইনে ডেঙ্গু রোগে অন্তত ৬২২ জনের মৃত্যুর পর দেশটির কর্তৃপক্ষ সেখানে ডেঙ্গুকে ‘জাতীয় মহামারি’ ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসির।
দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৪৬ হাজার মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত বছরের তুলনায় ৯৮ শতাংশ বেশি।
জুলাই মাসেই প্রাথমিকভাবে এই সম্পর্কিত ‘জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কবার্তা’ জারি করেছিল ফিলিপাইন। যাতে করে কোন এলাকায় সাহায্য বেশি দরকার সেটি চিহ্নিত করতে পারেন কর্মকর্তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে বিশ্বব্যাপী এই বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রানসিস্কো দুকু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সারা দেশে মহামারি ঘোষণা করার দরকার হয়েছে এই কারণে যাতে কোনো এলাকায় সাহায্য বেশি দরকার সেটি চিহ্নিত করা যায়। স্থানীয় সরকার বিষয়ক ইউনিটগুলোকে সক্রিয় করা দরকার যাতে করে মহামারি চলাকালীন জরুরি তহবিল ব্যবহার করা যায়।”
দেশটির পশ্চিমে ভিসাইয়াস অঞ্চলে সবচাইতে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুধু ওই অঞ্চলেই ২৩ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত।
রোগী শনাক্ত করার সংখ্যা যতটা হলে সাধারণত মহামারি ঘোষণা করা হয়, আরও সাতটি এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহ-জুড়ে তেমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটিতে ডেঙ্গু রোগের প্রতিষেধক নিয়ে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। সে কারণেই এটি সামাল দেয়া এখন মুশকিল হয়ে গেছে।
ফরাসি কোম্পানি সানাফির তৈরি একটি টিকা দেয়ার পর ১৪টি শিশুর মৃত্যুর পর থেকে এমন ভীতি তৈরি হয়েছে।
সে কারণে শিশুদের টিকা দিতে আপত্তি করছেন অনেক অভিভাবক। যদিও সানাফি এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন টিকার সাথে শিশুদের মৃত্যুর সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি। অভিভাবকেরা অন্যান্য সব অসুখের টিকা দিতেও রাজি হচ্ছেন না।
গত বছরই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিল জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা। প্রতি বছর ৪০ লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, যার বেশির ভাগই বাস করেন গ্রীষ্মপ্রধান দেশে।
শিশুদের মধ্যে এই রোগের সবচাইতে তীব্র লক্ষণ দেখা গেছে।