আমাজন রেইনফরেস্ট থেকে বেঁচে ফেরার ১১ দিনের সেই লড়াই
জীববিজ্ঞানী জুলিয়ান ডিলার আমাজনের সেই বিস্ময়কর বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি। দুর্ঘটনার সময় তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭ বছর। আর এখন পঞ্চাশ বছর পরে এসে তিনি তার বাবা-মায়ের প্রতিষ্ঠা করে যাওয়া পেঙ্গুয়ানা গবেষণা কেন্দ্র পরিচালনা করেছেন।
ড. ডিলার সম্প্রতি মিউনিখের ব্যাভেরিয়ান স্টেট কালেকশন অফ জুলোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নিয়েছেন।
১৯৭১ সালের ক্রিসমাস সন্ধ্যার আগের দিন দুপুরে, জুলিয়ান তার মা মারিয়ার সঙ্গে আমাজনের ভিরতে অবস্থিত পেঙ্গুয়ানা গবেষণা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে ফ্লাইটে ওঠেন। বিমানটি পেরুর লিমা হতে পুকালপা আসার পথে উড্ডনের মাত্র ২৫ মিনিটের মাথায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। ৮৬ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি বজ্রঝড়ের কবলে পড়ে কাঁপতে শুরু করে।
ড. ডিলার স্মৃতিচারণ করে বলেন, "আমার মা, যিনি আমার পাশেই বসে ছিলেন, বলে উঠলেন, 'আশা করি, সব ঠিক হয়ে যাবে,। যদিও আমি তার কণ্ঠে উদ্বেগ অনুভব করেছিলাম, তারপরেও আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করলাম।"
পিছনের সারিতে জানালার পাশের আসন থেকে ১৭ বছর বয়সী ড. ডিলার বিমানের ডানপাশে বজ্রাঘাত হতে দেখলেন। এরপর তা মা বলেছিলেন, "এখন সব শেষ"। তিনি বিমানের যাত্রীদের চিৎকার করতে ও কাঁদতে দেখলেন। এবং পরক্ষণেই বজ্রাঘাতে সবকিছু নীরব হয়ে যাওয়ার কথাও তার মনে আছে।
বিমানটি ভেঙে পড়েছিলো এবং তার আসনটি এমনভাবে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছিলো যে অন্যান্য যাত্রীদের থেকে তিনি আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন।
ড. ডিলান বলেন, "পরে আমি যা অনুধাবন করলাম তা হলো, আমি আর কেবিনের ভিতরে ছিলাম না। আমি বাইরে ছিলাম, খোলা জায়গায়। আমি বিমান থেকে নামিনি; বরং বিমানই আমাকে নামিয়ে দিয়েছিলো।"
তিনি আমাজনের গহীনে পড়ে গেলেন এবং সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
ক্রিসমাসের দিন সকালে যখন তার জ্ঞান ফিরলো তিনি দেখলেন, সম্পূর্ণ একা, একটি ম্যাপল গাছের ছাউনির নিচে তিনি ছেড়া জামায় পড়ে আছেন। তিনি দশ হাজার ফিট নিচে পড়ে গিয়েছিলেন, যা কমপক্ষে দুই মাইলের সমান। তিনি যে আসনে বসেছিলেন সেই আসনগুলোর সারি ঘন পাতার ভিতর দিয়ে নিচে পড়েছিলো বলে মনে করা হয়, যার কারণে হয়তো তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
অলৌকিকভাবে, তার আঘাতগুলো ছিল বেশ ছোট- একটি ভাঙা কলারবোন, মচকে যাওয়া হাঁটু এবং ডান কাঁধে আঘাত, একটি ফোলা বন্ধ চোখ এবং অন্যটিতে তার দৃষ্টিশক্তি কিছুটা সংকীর্ণ হয়ে যায়; এই নিয়েই তিনি চলতে শুরু করলেন।
এইসব কিছুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পীড়াদায়ক যে ব্যাপারটি ঘটেছিলো সেটা হলো, তার চশমা হারিয়ে যাওয়া। তিনি হ্রস্বদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন এবং চশমা ছাড়া দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেতেন না।
২০১১ সালে জার্মানিতে প্রকাশিত হওয়া তার স্মৃতিচারণমূলক বই "হোয়েন আই ফেল ফ্রম দ্য স্কাই"- এ লিখেছেন, "আমি একটি ভ্রূণের মতো সারা দিন রাত সেখানেই পড়ে রইলাম। কাদা মাটিতে আমি সম্পূর্ণ ভিজে গিয়েছিলাম, সেদিনের ঝড় বৃষ্টিতে।"
তিনি পাখিদের কিচিরমিচির, ব্যাঙের ডাক এবং পোকামাকড়ের গুঞ্জন শুনে বুঝেছিলেন যে, তিনি পেঙ্গুয়ানার জঙ্গলেই আছেন এবং দুর্ঘটনায় বেঁচে গেছেন।
তিনি বলেন, "আমি যা অনুভব করেছি তা ভয় নয় বরং সেটা ছিলো একা হয়ে যাওয়ার সীমাহীন অনুভূতি।"
হতবিহ্বল হয়ে তিনি দেখলেন, বেঁচে থাকার জন্য তার কাছে শুধুমাত্র এক ব্যাগ লজেন্স রয়েছে। বিষাক্ত সাপ, পোকামাকড়, মৌমাছি, ঝাঁক ঝাঁক মশা ও মাকড়শাসহ আরো নানা রকম প্রতিকূলতার মাঝেই তিনি বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমেছিলেন।
সময়টা ছিলো বর্ষাকাল। ফলে জঙ্গলে কোনো গাছে ফল ছিলো না। আর্দ্র আবহাওয়ায় লাকড়ি, গাছের পাতা সবই ছিলো ভেজা। আগুন জ্বালানো হয়ে পড়েছিলো দুঃসাধ্য। আর এরমধ্যেই তিনি নদীর স্রোত অনুসরণ করে চলতে লাগলেন, টানা ১১ দিন!
এ বছর সেই লানসা ফ্লাইট-৫০৮ বিমান দূর্ঘটনার ৫০ বছর পূর্ণ হলো। এই সময়ের মাঝে ড. ডিলার জার্মানিতে গিয়ে জীববিজ্ঞানের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং খ্যতনামা প্রাণীবিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
১৯৮৯ সালে তিনি কীটতত্ত্ববিদ এরিক ডিলারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিমান যাত্রার এক অস্বস্তিদায়ক অভিজ্ঞতা নিয়েও ড. ডিলার তার বাবা-মায়ের হাতে গড়া পেঙ্গুয়ানার সেই গবেষণা কেন্দ্রে প্রায়ই যেতেন।
তিনি বলেন, "এই জঙ্গলই আমাকে বাঁচিয়েছে।"
১৯৮১ সালে ড. ডিলার তার পিএইচডি গবেষণার জন্য ১৮ মাস পেঙ্গুয়ানা গবেষণা কেন্দ্রে কাটান। ১৯ বছর পর তার বাবার মৃত্যু হলে তিনি সেই গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, "সভ্যতায় ফিরে যাওয়ার জন্য আমার সেই একাকী ১১ দিনের যাত্রা পর আমি একটি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম; আমি আমার জীবনকে এমন একটি অর্থপূর্ণ কাজে উৎসর্গ করবো যা সর্বদা প্রকৃতি ও মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকবে।"
মূলত এই কারণেই পেঙ্গুয়ানা পেরুর সবচেয়ে প্রাচীন জীববিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের মর্যাদা পেয়েছে। ১৯৭০'এর দশকে ড. ডিলার এবং তার বাবা সরকারের প্রতি আবেদন জানান যেন অঞ্চলটি পরিষ্কার না করা হয় এবং বসতি স্থাপন ও শিকারের অনুমতি না দেওয়া হয়।
অবশেষে, ২০১১ সালে পরিবেশ মন্ত্রণালয় পেঙ্গুয়ানাকে একটি "ব্যক্তিগত সংরক্ষিত এলাকা" হিসেবে ঘোষণা করে। ড. ডিলার গবেষণা কেন্দ্রের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য বিদেশী পৃষ্ঠপোষকদেরও সহায়তা নিয়েছেন। তার প্রচেষ্টায় কেন্দ্রটি ৪৪৫ একর জমি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার একরে সম্প্রসারিত হয়েছে।
গত প্রায় পঞ্চাশ বছরে পেঙ্গুয়ানা একটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। এ পর্যন্ত পেঙ্গুয়ানার উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের উপর গবেষণা চালিয়ে ৩১৫ টি আন্তর্জাতিকমানের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
৫০০ প্রজাতির গাছ, ১৬০ ধরণের সরীসৃপ এবং উভয়চর প্রাণী, ১০০ ধরণের মাছ, ৭ টি প্রজাটির বানর এবং ৩৮০ প্রাজাতির পাখির অভয়ারণ্য এখন পেঙ্গুয়ানা।
পেঙ্গুয়ানা স্থানীয় একটি শব্দ। নামটি আমাজন অববাহিকায় মাটিতে বিচরণকারী এক প্রজাতির পাখির নাম।
ডিলারের শৈশবের প্রিয় পোষা প্রাণীটি ছিল একটি পেঙ্গুয়ানা যার নাম তিনি রেখেছিলেন পোলস্টারচেন। মূলত এখান থেকেই গবেষণা কেন্দ্রের এই নামের উৎপত্তি।
আবারও বিমান দূর্ঘটনায় ফেরা যাক।
ড. ডিলার খুব উৎসাহ নিয়ে পেরুতে তার বেড়ে ওঠার গল্প বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লিমাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা ঐ শহরের জাতীয় জাদুঘরে চাকরি করতেন। সেখানে ভূমিকম্প ছিলো নিত্যনৈমিক ব্যাপার।
তিনি বলেন, "আমি এটা জেনে বড় হয়েছি যে কোন কিছুই আসলে নিরাপদ নয়, এমনকি যে শক্ত ভূমিতে আমি হাঁটছি সেটাও নয়। আর সেই স্মৃতিগুলো কঠিন পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রাখতে আমাকে সাহায্য করেছে।"
ডিলার বলেন, তিনি এখনও তার মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছেদের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন। একথা বলার সময় তার কণ্ঠস্বর থেমে যায়।
তিনি বলেন, "আমাকে মেনে নিতে হয়েছিল যে একমাত্র আমিই বেঁচে আছি এবং আমার মা সত্যিই মারা গিয়েছেন। আমি বুঝতে পারলাম যে আমি আর কোনও অনুসন্ধানী বিমানের খোঁজ পাবো না এবং নিশ্চিত ছিলাম যে আমি অবশ্যই মারা যাবো; এবং আমার সেই তরুণ জীবনে আমি কোনো উল্লেখযোগ্য অবদান না রেখেই মারা যাবো, এমনটাই আমি তখন অনুভব করেছিলাম।"
ড. ডিলার না চাইতেও বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছেন। কারণ তাকে নিয়ে বিভিন্ন দেশে সিনেমা, ডকুমেনটারি এবং বায়োপিক বানানো হয়েছে।
১৯৭৪ সালে ইটালিতে তাকে নিয়ে "মিরাকেল স্টিল হ্যাপেন" নামে একটি বায়োপিক বানানো হয়, যেখানে তাকে "হিস্টেরিক্যাল ডিংব্যাট" (বুদ্ধিহীন) হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছিলো। তিনি সেই ঘটনা বহু বছর যাবত এড়িয়ে চললেও এখনও মাঝে মাঝে মর্মাহত হন।
ডিলার ১৯৯৮ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক ওয়ার্নার হারজগকে তার বেঁচে যাওয়ার গল্প নিয়ে জার্মান টিভিতে একটি ডকুমেন্টারিতে বানানোর প্রস্তাব দেন। তিনি তার সেই ঐতিহাসিক ডকুমেন্টারি বানাতে ক্রিসমাস সন্ধ্যাকেই বেছে নিয়েছিলেন। তারা সুটিং-এর জন্য আমাজন বনের সেই দূর্ঘটনার স্থানে পৌঁছালেন।
ড. ডিলার হেলিকপ্টরে করে সেখানে গেলেন এবং পরিচালক ওয়ার্নারকে তার ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতা বিস্তারিতভাবে বলেছিলেন। জঙ্গলের চতুর্থ দিনটি ছিলো তার জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ, যখন তিনি একজন নারী এবং দুইজন পুরুষের মরদেহ আবিষ্কার করলেন। ডিলাররের ভাষায়, মানুষগুলো এমন গতিতে মাটিতে আছড়ে পড়েছিলো যে তারা প্রায় তিন ফুট মাটির গভীরে চলে গিয়েছিলো।
তিনি ভয়ে ছিলেন যে,নারী মরদেহটি তার মায়ের কিনা। তিনি একটি লাঠি দিয়ে মরদেহের পা সরিয়ে দেখে নিশ্চিত হলেন যে সেটি তার মা ছিলো না। কারণ তার মা নখে কখনো নেইল পলিশ ব্যবহার করতেন না।
ওয়ার্নার, ড. ডিলারের অভিজ্ঞতার আলোকে চলচিত্রায়িত সেই ডকুমেন্টারির নাম দেন "উইংস অফ হোপ"। পরিচালক পুরো ডকুমেন্টারি জুড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
ড. ডিলার ওয়ার্নারের কাজে স্বস্তি ব্যক্ত করে বলেন, "এটা আমার কাছে একটি থেরাপির মত কাজ করেছে। দুর্ঘটনার সময়, কেউ আমাকে কোন আনুষ্ঠানিক পরামর্শ বা মানসিক কাউন্সিলিং এর প্রস্তাব দেয়নি। আমার কোন ধারণাই ছিল না যে এভাবেও স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে।"
১৯৪৭ সালে ড. ডিলারের বাবা হ্যান্স-উইলহেম কোয়েপকে এবং তার মা মারিয়া ভন মিকুলিচ-রাডেকির দেখা হয়। তারা দুইজনই জার্মানির কিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে কোয়েপকে লিমায় একটি চাকরি পান। কিন্তু যুদ্ধপরবর্তী সেই সময়ে ইউরোপে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া মোটেই সহজ ছিলো না। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তিনি লিমায় পৌঁছাতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে ড. ডিলারের মা মারিয়াও লিমায় গিয়ে একই কর্মস্থলে যোগদান করেন।
তবে গবেষণার কাজে তারা স্বপরিবারে লিমা ত্যাগ করে পেঙ্গুয়ানাতে বসবাস শুরু করেছিলেন।
ড. ডিলার তার বাবা-মায়ের কল্যাণে প্রকৃতির খুব কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন। তার বাবা-মা তাকে শিখিয়েছিলো যদি জঙ্গলে কখনো পথ হারিয়ে যায়, তাহলে নদীর স্রোত অনুযায়ী পথ অনুসরণ করতে। তার পরিবার থেকে পাওয়া সেই পরামর্শই তাকে আমাজন রেইনফরেস্টের দূর্ঘটনা থেকে বাঁচিয়ে ফেরাতে পেরেছিলো।
১১ দিনের সেই ভয়ঙ্কর যাত্রার পর তিনি একটি বনকর্মী শিবিরে আশ্রয় পান। পরের দিন সেই কর্মীরা তাকে গ্রামে নিয়ে আসে এবং তিনি সেখান থেকে নিরাপদে তার বাবার কাছে ফিরে গিয়েছিলেন।
ডিলার বলেন, "আমার বাবা-মায়ের কাছে এই রেইনফরেস্ট একটি শান্তি ও ঐক্যের প্রতীক; আমার কাছেও ঠিক তাই। এই জঙ্গলই আমার সত্যিকারের শিক্ষক। জঙ্গলের প্রতি এই ভালোবাসা, আমার স্বামীর প্রতি আমার ভালবাসার মতোই একটি অংশ। আমাজন এবং এর উপনদীগুলোর পাশে বসবাসকারী লোকদের সুর-সঙ্গীত এবং বিমান দুর্ঘটনার সকল স্মৃতি আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে।"
ড. ডিলারের ভয়াবহ সেই যাত্রার পঞ্চাশ বছর পর, তিনি মনে করেন তার জীবনের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। তিনি হাস্যোজ্জ্বল মুখে বলেন, "মানুষ এবং প্রকৃতির জন্য কিছু করতে পারা, আমার বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়, এবং এর জন্য আমি অনেক কৃতজ্ঞ।"
- সূত্র- দ্য নিউইয়র্ক টাইমস