ফাইজার, মডার্না-সহ কোভিড ভ্যাকসিন বিক্রিতে শত শত কোটি ডলার আয় করছে যারা
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জাগিয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরার আশা। বৈশ্বিক এই বাজার ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর সামনে এনে দেয় শত শত কোটি ডলার আয়ের সুযোগ।
কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে এপর্যন্ত সবচেয়ে ফলপ্রসূ টিকা আবিষ্কার করেছে মডার্না ও ফাইজার ইঙ্ক। টিকা দুটির ডোজপ্রতি দামও বেশি, যা উন্নত ও ধনী দেশে বিক্রির সুবাদে আয়ের দিক থেকে অন্যদের চাইতে এগিয়ে আছে মার্কিন কোম্পানি দুটি।
মডার্না ও ফাইজার উভয় কোম্পানির টিকাই রোগ প্রতিরোধ অর্জনের জন্য দুই ডোজ করে নিতে হয়, নাগরিক প্রতি টিকাদানে দরকারি ডোজদ্বয় কিনতে ৩০ ডলারের বেশি মূল্য নিচ্ছে তারা। বলতে দ্বিধা নেই, এই ব্যবসা তাদের বাণিজ্যিক সাফল্যের রথ আরও সামনে এগিয়ে নেবে। যেমন; মডার্নার কথাই বলা যাক, মাত্র ১১ বছর আগে যাত্রা শুরু করলেও মহামারির আগে কোম্পানিটি কখনো মুনাফার মুখ দেখেনি। ওই সময়ে তাদের কর্মীও ছিল মাত্র ৮৩০ জন।
অন্যদিকে, ওষুধ শিল্পের বৈশ্বিক জায়ান্ট ফাইজার ইঙ্কের যাত্রা শুরু ১৮৪৯ সালে, গেল বছর শেষে তাদের মুনাফা ছিল ৯৬০ কোটি ডলার, কর্মী সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।
এদুটি কোম্পানি ছাড়াও ব্রিটিশ-সুইডিশ মালিকানার ওষুধ প্রস্তুতকারক অ্যাস্ট্রাজেনেকা পিএলসি এবং অপর মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট জনসন অ্যান্ড জনসনও কোভিড প্রতিষেধক বিক্রি করছে। মহামারি অবসান না হওয়া পর্যন্ত তারা দিয়েছে মুনাফা ছাড়া টিকা বিক্রির প্রতিশ্রুতি।
এই অবস্থায় আগামীদিনে বাজারটি অর্থ আয়ের আকর্ষণীয় উৎস হিসেবে অবস্থান ধরে রাখবে কিনা- তা নির্ভর করছে প্রধানত দুটি বিষয়ের উপর; প্রথমত, হামের মতো প্রচলিত রোগ থেকে সুরক্ষায় যেমন এক ডোজের অতি-কার্যকর ভ্যাকসিন এসেছে, কোভিড মোকাবিলায় তেমন ভ্যাকসিন আসলে মুনাফা কমবে। দ্বিতীয়ত, এমন ভ্যাকসিন যদি অচিরেই না আসে, এবং সেক্ষেত্রে যদি ফ্লু'র টিকার মতো নিয়মিত বিরতিতে সকলকে নতুন করে টিকাদানের প্রয়োজন হয়- তাহলে প্রস্তুতকারকদের জন্য বড় অংকের আর্থিক প্রাপ্তিযোগ তৈরি হবে।
ভবিষ্যতের এমন প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে এবার দেখা যাক- কোন কোম্পানিগুলো মুনাফা করার সাড়িতে আছে এবং তাদের শেয়ারের বড় অংশীদারেরা কেমন সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছেন ইতোমধ্যেই।
১.ফাইজার/বায়োএনটেক – এমআরএনএ প্রযুক্তির টিকা:
জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক- এর সহায়তায় কোভিড টিকা তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার। ম্যাসেঞ্জার আরএনএ নামক জিনগত উপাদানের বৈশিষ্ট্যগত রূপান্তরের মাধ্যমে এটি প্রস্তুত করা হয়। এই জৈব-রাসায়নিকটি মূলত ডিএনএ কোষের রোগ প্রতিরোধী প্রোটিন উৎপাদক অংশকে সংকেত পাঠায়। চূড়ান্ত মানব ট্রায়াল শেষে অনুমোদন পাওয়া এটি প্রথম কোভিড-১৯ টিকা, যা অতি-হিমশীতল তাপমাত্রা বা মাইনাস ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়।
বিভিন্ন দেশের সরকার ইতোমধ্যেই এর ৭৮ কোটি ডোজ অর্ডার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র একাই ২০ কোটি ডোজ কিনেছে ৩৯০ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায়। ইইউ কমিশন কিনেছে ৩০ কোটি ডোজ, এর বাইরে স্বল্প আয়ের দেশে মাত্র ৪ কোটি ডোজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় সরবরাহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজার প্রতিষেধকের দুই ডোজের মূল্য ৩৯ ডলার, এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নে এর মূল্য ৩০ ডলার।
২০২১ সালে প্রত্যাশিত বিক্রি ১৫-২১ বিলিয়ন ডলার:
ফাইজার তাদের টিকার সহ-আবিষ্কারক সংস্থা বায়োএনটেক- এর সঙ্গে করেছে কোভিড প্রতিষেধক উৎপাদন খরচ ও মুনাফা সমানভাবে বণ্টনের চুক্তি। ২০২১ সালের পুরোটা সময়ে তারা ১৫শ' কোটি ডলার বিক্রির আশা করছে। কিন্তু, চলতি বছর ২শ' কোটি ডোজ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করে ফাইজার বলেছে, বছর শেষে তাদের চূড়ান্ত আয়ের পরিমাণ প্রত্যাশিত মাত্রার দ্বিগুণও হতে পারে।
এব্যাপারে বহুজাতিক ব্যাংকিং সংস্থা বার্কলেইজ এর বিশ্লেষক কার্টার গোল্ড পূর্বাভাস দেন, চলতি বছর ফাইজার ২১৫০ কোটি ডলারের কোভিড প্রতিষেধক বিক্রি করবে, আগামী বছর যার পরিমাণ হবে ৮৬০ কোটি ডলার এবং ২০২৩ সালে তা কমে ১৯৫ কোটি ডলারে নামবে, ওই সময় নাগাদ ফাইজারের এক ডোজ ভিত্তিক টিকা আবিষ্কার হবে এমন অনুমান করে তিনি এই আভাস দেন।
গত ১২ মাসে শেয়ার মূল্য পরিবর্তন:
ফাইজার: +১.৮%
বায়োএনটেক:+১৫৬%
জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা তুর্কি বংশদ্ভূত দম্পতি উঘুর শাহিন এবং ওজলেম তুরেসি- তারা দুজনেই চিকিৎসক। গেল বছর কোভিড টিকা গবেষণায় বিস্ময়কর সফলতা ও ফাইজারের সাথে চুক্তির পর তাদের প্রতিষ্ঠানের বাজারমূল্য রাতারাতি স্ফীত হওয়া শুরু করে। ফলে তারা দুজনেই মাল্টি-বিলিয়নিয়ারে পরিণত হন।
২. মডার্না এমআরএনএ ভ্যাকসিন:
ম্যাসাচুসেটস ভিত্তিক মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি মডার্নার তৈরি টিকা সাধারণ ফ্রিজারের মাইনাস ২০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। কার্যকারিতাও ফাইজার টিকার সমান। ফলে অবকাঠামোগত সুবিধার বিবেচনায় এর সমাদর বাড়ে। যুক্তরাজ্য এর ১৭ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার করেছে, অন্যদিকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন কিনেছে ৩২ কোটি ডোজ, একই চুক্তির আওতায় ২০২২ সালে আরও ১৫ কোটি ডোজ অর্ডারের সুযোগ পাবে ইইউ। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার অর্ডার করে ৩০ কোটি ডোজ, জাপান এর ৫ কোটি ডোজ কেনে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া দুই ডোজের মূল্য ৩০ ডলার নেয় মডার্না, ইউরোপে নেওয়া হচ্ছে ৩৬ ডলার।
২০২১ সালে প্রত্যাশিত বিক্রি ১৮-২০ বিলিয়ন ডলার:
মডার্না জানিয়েছে, ২০২১ সালে তারা ১৮.৪ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষেধক বিক্রির আশা করছে। এব্যাপারে বার্কলেইজ বিশ্লেষক জেনা ওয়াং এর পূর্বাভাস; চলতি বছরে ১৯.৬ বিলিয়ন, ২০২২ সালে ১২.২ বিলিয়ন এবং ২০২৩ সালে ১১.৪ বিলিয়ন ডলার। করোনাভাইরাস অভিযোজনের হুমকি মোকাবিলায় প্রতিবছর নতুন করে টিকা নিতে হবে এমন অনুমানের ভিত্তিতে এ আভাস দেওয়া হয়।
গত ১২ মাসে শেয়ারমূল্য পরিবর্তন:
+৩৭২%
২০১০ সালে কোম্পানিটি একবার তীব্র আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিল, ওই সময় একদল বিনিয়োগকারী কোম্পানিটিকে রক্ষা করেন, তাদের সামনে এখন বিপুল মুনাফার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী স্টিফান বানসেল মোট শেয়ারের ৯ শতাংশের মালিক, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫শ' কোটি ডলার।
৩. জনসন অ্যান্ড জনসন অ্যাডনোভাইরাস ভ্যাকসিন:
বিশ্বের প্রথম সিঙ্গেল ডোজ কোভিড-১৯ প্রতিষেধক হচ্ছে জেঅ্যান্ডজে'র টিকা। বেলজিয়ামে অবস্থিত কোম্পানিটির জ্যানসেন শাখা এটি আবিষ্কার করে। প্রতিষেধকে ব্যবহার হয়েছে সর্দি-কাশির জন্য দায়ী অতি-বিরল এক অণুজীব- অ্যাডনোভাইরাস-২৬। গত ফেব্রুয়ারির শেষে টিকাটিকে মার্কিন নিয়ামক সংস্থা অনুমোদন দেয়। টিকাটি সাধারণ মানের ফ্রিজের তাপমাত্রায় ন্যূনতম তিন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
বড় মাপের অর্ডার আসে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে, উভয়ে ৩ কোটি ডোজ চলতি সরবরাহ-সহ, একই চুক্তির শর্তের অধীনে প্রয়োজনে আরও ২ কোটি ২০ লাখ ডোজ কিনতে পারবে। ইইউ অর্ডার করেছে ৪০ কোটি ডোজ, অন্যদিকে ২০২২ সালের জন্য ৫০ কোটি ডোজ কেনার চুক্তি করেছে কোভ্যাক্স।
২০২১ সালে প্রত্যাশিত বিক্রি সর্বোচ্চ ১০ বিলিয়ন ডলার:
চলতি বছরের শেষ নাগাদ ১০০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে চায় জনসন। এতে তাদের আয় হবে এক হাজার কোটি ডলার। এরমধ্যে মার্কিন সরকার ডোজ প্রতি ১০ ডলার মূল্য দিয়ে ১০ কোটি ডোজ কিনেছে।
গত ১২ মাসে শেয়ারমূল্য পরিবর্তন:
+৭.৭%
৪. অ্যাস্ট্রাজেনেকার অ্যাডেনোভাইরাস ভেকটর ভ্যাকসিন:
শিম্পাজির দেহে সর্দিকাশির সৃষ্টিকারী এক ধরনের ভাইরাসের পরিবর্তিত সংস্করণ কাজে লাগিয়ে টিকাটির আবিষ্কার করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এটি সাধারণ ফ্রিজের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। এ ধরনের ভাইরাল ভেক্টর প্রতিষেধক ক্ষতিকর নয় এমন জীবাণুর সাহায্য নিয়ে শরীরের কোষকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরির জেনেটিক সংকেত পাঠায়।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার বড় অর্ডারগুলো দিয়েছে যুক্তরাজ্য (১০ কোটি), ইইউ (৪০ কোটি), যুক্তরাষ্ট্র (৩০ কোটি) এবং জাপান (১২ কোটি) ডোজ। এর বাইরে টিকাটির সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী দেশ হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ ভারত। সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এটি কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে, বাংলাদেশেও এই প্রতিষেধকের মাধ্যমেই জাতীয় কোভিড টিকা কর্মসূচি শুরু হয়।
২০২১ সালে প্রত্যাশিত বিক্রি ২-৩ বিলিয়ন ডলার:
জনস্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগকারী ব্যাংকিং সংস্থা এসভিবি লিরিংক- এর আভাস অনুসারে চলতি বছর ১৯০ কোটি ডলার এবং ২০২২ সালে ৩০০ কোটি ডলারের অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা বিক্রি হবে।
তবে চলতি বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ৩শ' কোটি ডোজ উৎপাদনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারলে তাদের ২০২১ সালের বিক্রির অংক আরও বেশি হতে পারে। অবশ্য মহামারির মধ্যে কোম্পানিটি মুনাফা ছাড়াই বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে ডোজপ্রতি ৪.৩০-১০ ডলার মূল্য নিচ্ছে।
গত ১২ মাসে শেয়ারমূল্য পরিবর্তন:
-৮.৬%
৫. সিনোভ্যাক ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভাইরাস ভ্যাকসিন:
গত গ্রীষ্মে চীনের বেশ কিছু শহরে করোনাভ্যাক নামের টিকাটি জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এর অনুমোদন দেয় চীনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বেইজিং ভিত্তিক কোম্পানি টিকা সরবরাহের জন্য ব্রাজিল, চিলি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
গেল জানুয়ারিতে সিনোভ্যাকের প্রতিষেধক দিয়েই নিজেদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়া। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স উদ্যোগে এক কোটি ডোজ সরবরাহের পরিকল্পনা করছে সিনোভ্যাক।
চলতি বছরের প্রত্যাশিত বিক্রি শত কোটি ডলার হতেও পারে, তবে বিষয়টি স্পষ্ট নয়:
২০২১ সালে মোট ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে পারবে বলে জানিয়েছে সিনোভ্যাক। চীনের কিছু শহরে এর দুই ডোজের মূল্য নেওয়া হয়েছে ৬০ ডলার করে। সিনোভ্যাকের ইন্দোনেশীয় সহযোগী সংস্থা বায়োফার্মা প্রতিষেধকের ৪ কোটি ডোজ অর্ডার করেছে। প্রতি ডোজ ২৭.২০ ডলারে কেনার কথা জানায় সংস্থাটি।
গত ১২ মাসে শেয়ারমূল্য পরিবর্তন:
-২১.৬%
৬. গামালেয়া ইনস্টিটিউট/ রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের অ্যাডনোভাইরাস ভ্যাকসিন:
ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রধান ওষুধ প্রশাসনের স্বীকৃতি না পেলেও ইইউ সদস্য দেশ হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া এই ভ্যাকসিন কিনেছে। স্পুটনিক- ফাইভ নামের এই প্রতিষেধক ইরান, আলজেরিয়া ও মেক্সিকোসহ বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশ অর্ডার করেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকাও তাদের টিকার এক ডোজের সঙ্গে স্পুটনিক টিকার আরেক ডোজ মিশ্রভাবে দেওয়া যায় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখছে।
চলতি বছরের প্রত্যাশিত বিক্রি কয়েকশ' কোটি ডলার হতে পারে, তবে প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি:
স্পুটনিক ফাইভ টিকা রাশিয়ায় ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদন করতে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে এর আবিষ্কারক সংস্থা। টিকা গবেষণায় অর্থায়নকারী রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল আরডিআইএফ গত মাসে প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানায়, তারা ১০টি দেশের মোট ১৫টি উৎপাদক সংস্থার সঙ্গে ১৪০ কোটি ডোজ উৎপাদনের চুক্তি করেছে। আবিষ্কারক সংস্থা রপ্তানি বাজারে দুই ডোজের মূল্য ২০ ডলার বা তারও কম রাখার কথা জানিয়েছে। অবশ্য, এটি রাশিয়ায় বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
- সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান