গান্ধীসহ যোগ্য অনেককেই পুরস্কৃত করেনি নোবেল কমিটি
২০০৬ সালে নোবেল ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক গেইর লুন্ডস্ট্যাড বলেছিলেন, যোগ্য দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও শান্তিতে নোবেল না জেতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ মহাত্মা গান্ধী।
নোবেলের জন্য গান্ধী বেশ কয়েকবার মনোনীত হন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে দুবার, এরপর ১৯৪৬, ৪৭ ও ৪৮ সালে- মোট পাঁচবার। তবে নোবেল কমিটির ইউরোপ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্রিটিশ উপনিবেশে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থনের দোলাচালে পুরস্কারের খাতায় আর নাম ওঠেনি গান্ধীর।
"নোবেল না পাওয়ায় গান্ধীর ক্ষতি নেই। গান্ধীকে পুরস্কৃত করতে না পারাটাই নোবেল কমিটির ব্যর্থতা সেটাই প্রশ্ন", বলেছিলেন লুন্ডস্ট্যাড।
সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদান থাকার পরও অনেক যোগ্য লেখক, নাট্যকারকেও পুরষ্কৃত করতে ব্যর্থ হয়েছে নোবেল কমিটি।
এমন কিছু লেখক হলেন, জেমস জয়েস, লিও টলস্টয়, আন্তন চেখভ, মার্সেল প্রুস্ট, হেনরিক ইবসেন, মার্ক টোয়েন, জর্জ অরওয়েল, আর্থার মিলার এবং জর্জ লুইস বোর্হেস।
বিখ্যাত এবং যুগান্তকারী চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখক জঁ-লুক গদার একবার বলেছিলেন, চিত্রকলা, সঙ্গীত এবং সিনেমার সাংস্কৃতিক এবং দার্শনিক তাত্পর্য সত্ত্বেও এর নোবেল পুরস্কার নেই।