হবু মা আর নবজাতকদের ছবি তোলাই যাদের কাজ
"প্রেগন্যান্সির সময় শরীর খুব একটা ভালো থাকত না। দুর্বল বোধ করতাম সবসময়। এরপরও প্রথমবারের মতো মা হওয়া, স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসের মাত্রা ছিল অনেক বেশি। এখন ওই মুহূর্তগুলোর ছবি দেখলে– অন্যরকম একটা সাহস পাই।" ২ বছরের তৃপ্তর মা, মিরা তাপসী জানাচ্ছিলেন গর্ভধারণকালীন তার বিশেষ মুহূর্তের কথা। ছেলের জন্মের পরপরই তার ছবিও তুলে রেখেছেন। সন্তান গর্ভধারণকালীন (ম্যাটারনিটি) আর নবজাতকদের (নিউবর্ন) নিয়ে ফটোগ্রাফি বাংলাদেশে খুব পুরোনো নয়। ২০১০ সালের পর থেকে এ ধরনের ফটোগ্রাফির চল শুরু হয়। অল্পদিনেই পেশা হিসেবেও বেশ ভালো জায়গা করে নিয়েছে এটি।
আরও কথা হয়, ২০১৭ সালের দিকে নবজাতক আর মাতৃত্বকালীন ফটোগ্রাফি শুরু করা ফারিয়া, শ্রাবণ দম্পতির সঙ্গে। "নিরয ফটোগ্রাফি" নামে একটি অনলাইন পেজ ও একটি স্টুডিও আছে তাদের। ১০ দিনের ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী বাচ্চাদের আনাগোনা লেগেই থাকে কলাবাগান লেকসার্কাসের স্টুডিওটিতে! তবে শুধু নিউবর্ন বা ম্যাটারনিটি নয়, ওয়েডিং ফটোগ্রাফিও করেন তারা।
"এমনও হয়েছে যে বাচ্চাদের বাবা-মায়ের বিয়ের ছবি থেকে শুরু করে মায়ের গর্ভধারণকালীন ছবিও তুলেছি, এরপর তাদের ১০ দিনের ছোট্ট বাচ্চার ছবিও তুলেছি, আবার প্রত্যেক বছর ওদের জন্মদিনেও ছবি তুলি। এটা খুবই অসাধারণ"- এভাবেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছিলেন নিরয ফটোগ্রাফির চিফ শ্রাবণ খান।
২০১৩ সাল থেকে তিনি ছবি তোলার কাজ করেন। শুরুতে কিন্তু ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কাজ বেশি করতেন। পাশাপাশি জিমেইলে কন্টেন্ট রাইটারের কাজ করতেন। এর ফাঁকেই বিয়েটা সেরে ফেলেন। ২০১৭ সালে শুরু করেন ম্যাটার্নিটি আর নিউবর্ন ফটোগ্রাফি। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সেইসময় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। স্ত্রী ফারিয়া নাসরিন, পড়াশোনা করেছিলেন চিকিৎসাশাস্ত্রে। কিন্তু, দুজন মিলে একদম নতুন কিছু করার ইচ্ছা থেকেই এ পেশা বেছে নেন।
প্রথম প্রথম ক্লায়েন্টের সংখ্যা যে খুব বেশি ছিল, তা নয়, তবে এখন পর্যন্ত পাঁচশ'র বেশি নবজাতকদের ছবি তুলেছেন। আর ম্যাটার্নিটি ফটোগ্রাফির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়, প্রায় দেড়শ'র মতো হবে!
ছুটি কাটাতে বর্তমানে থাইল্যান্ডে আছেন ফারিয়া আর শ্রাবণ। এরমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে কিছুটা সময় দিলেন। জানালেন, সাধারণত ম্যাটারনিটি, আর বেবি ফটোগ্রাফি করেন তারা। নিউবর্ন ফটোগ্রাফি, বার্থডে ফটোগ্রাফি, বেবি স্টুডিও ফটোগ্রাফি– এগুলো রয়েছে বেবি ফটোগ্রাফির ভেতর। মূলত ৮ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকার ভেতর রয়েছে নানান প্যাকেজ। এনিয়ে ফটোগ্রাফি পেজটির রয়েছে প্রায় ৮৪ হাজার ফলোয়ার।
বেবি ফটোগ্রাফি ইনডোর আর আউটডোর দুধরনেরই হয়ে থাকে। তবে নিউবর্নের ক্ষেত্রে ইনডোর ফটোশ্যুটকে বেশি প্রায়োরিটি দেন বলে জানাচ্ছিলেন ফারিয়া। জানালেন, তিনরুমের তাদের পুরো বাসাটিই যেন একটা স্টুডিও!আর তার প্রমাণ মিলবে নিরয ফটোগ্রাফি (NirZ Photography) লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলে, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর জেমস প্রিন্সের এক ব্লগে- পুরো স্টুডিওটিই ঘুরে দেখিয়েছেন তিনি।
একটা ঘরে কেবল বাচ্চাদের বিভিন্ন থিমে ছবি তোলার জন্য বিভিন্ন প্রপস বা সজ্জা রাখা। আরেকটা ঘর রয়েছে, যেখানে শুধু বাচ্চাদের ছবি তোলা হয়। তৃতীয় ঘরটির পুরোটাই বরাদ্দ ছোট্ট বাচ্চাদের খাওয়ানো আর ওদের বিশ্রামের জন্য।
ফারিয়া, শ্রাবণ দম্পতির মতে, তাদের কোনো ক্লায়েন্ট বা বাচ্চার মা-বাবার যেন কোনো অস্বস্তি না হয়; তাদের যাতে মনে না হয় বাচ্চাগুলো এতোক্ষণ বা্সার বাইরে আছে কষ্ট করছে, সেজন্যই এই ব্যবস্থা!
সাধারণত জন্মের ৭ দিন থেকে শুরু করে ১৫দিন বাচ্চাদের ছবি তোলার আদর্শ সময়। কারণ এই সময় সুস্থ স্বাভাবিক শিশু ঘুমাবে। এর কয়েকদিন পরেই বাচ্চারা একটু একটু করে নড়াচড়া করতে শুরু করে। তখন ছবি তোলাটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়, তবে নেচে-কুদে, গান গেয়ে ছবি তোলার কোনো জুড়ি নেই নিরয ফটোগ্রাফির।
এভাবেই নিরয নিয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানাচ্ছিলেন নাবিলা নূদরাত। তার ২ বছর বয়সী ছেলে কল্পর প্রথম আর দ্বিতীয় দুটি জন্মদিনেই নিরয ফটোগ্রাফি টিমকে ডেকেছিলেন ছবি তুলতে। ছোট্ট কল্প এমনিই খুব মিশুক, তবে নিরযের ফটোগ্রাফি দলের সঙ্গে দারুণ একটা কেমিস্ট্রি হয়ে গিয়েছিল প্রথম জন্মদিনেই, তাই দ্বিতীয় জন্মদিনের ছবি তুলতে সোজা চলে গিয়েছিলেন নিরযের স্টুডিওতে। সেখানে খুব হাসিখুশি ছিল কল্প। দারুণ সব পোজ দিয়ে ছবি তুলেছে!
ফারিয়ার ভাষ্যমতে, বাচ্চাদের ছবি তোলা বেশ বড় একটা চ্যালেঞ্জ। যে কোনো কারণে বাচ্চাদের 'ম্যুড' খারাপ থাকতে পারে। শরীর খারাপের জন্যও অনেকসময় বাচ্চাদের 'ম্যুড অফ' থাকে। এসব ক্ষেত্রে একেকটা সেশনে প্রচুর সময় দিতে হয়। আবার কিছুটা বড় হয়ে গেলে জন্মদিন বা যেকোনো সময় ছবি তোলার জন্য ওদের ম্যুড ভালো রাখতে হয়, হাসাতে হয়। প্রচুর সচেতন থাকতে হয়।
ফারিয়া বললেন, যেহেতু আমি নিজে চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে পড়েছি, তাই বাচ্চাদের অসুস্থতার বিষয়ে অনেককিছুই বুঝতে পারি, যেগুলো সাধারণত মা-বাবার জন্য বোঝাটা কঠিন। তাই প্রচুর সময় নেই একেকটা সেশনে। নিউবর্ন বা নবজাতকরা অনেক সেনসিটিভ হয়। অনেকসময় এমনও হয়েছে যে, বাচ্চাটার শরীর খারাপ তাই কাঁদছে, কিন্তু মা-বাবা বুঝতে পারছে না; সেরকম সময় প্রাথমিক চিকিৎসা বা পরামর্শও দিতে পারি।"
ভবিষ্যতে পেশা হিসেবে বেবি বা নিউবর্ন ফটোগ্রাফি নিয়ে বেশ ভালো অবস্থানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন এ ফটোগ্রাফার। নিরযের আরেক কর্ণধার শ্রাবণ খান নিযে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছেন, এরপর আবার ফটোগ্রাফির ওপর গ্র্যাজুয়েশন করেছেন তিনি। নিজেরা যতটুকু শিখেছেন, ছবি তুলতে তুলতে আর ইন্টারনেটের বিভিন্ন কোর্সের মধ্য দিয়ে। তবে নিউবর্ন বা বেবি ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো পড়াশোনার ব্যবস্থা নেই। ভবিষ্যতে এ ধরনের ফটোগ্রাফির ওপর কোর্স করানো বা শেখানোর ইচ্ছা রয়েছে বলে জানালেন তারা।
যেহেতু বাচ্চাদের জোর করার সুযোগ নেই তাই এ ফটোগ্রাফিতে মন থেকে ডেডিকেশন খুব প্রয়োজন। সবচেয়ে বড় কথা এ ফটোগ্রাফি দিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে অবশ্যই মূলধনের বিষয়ে আগে থেকেই সাবধানী হতে হবে। ভালো মূলধন না থাকলে একে পেশা হিসেবে নেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন ফারিয়া, শ্রাবণ দম্পতি। এপর্যন্ত তাদের ২০ লাখ টাকারও অনেক বেশি খরচ হয়েছে বলেও জানান তারা। কারণ, নিউবর্ন ও বাচ্চাদের স্টুডিও ফটোগ্রাফিগুলো সাধারণত অনেক রকম থিমের ওপর হয়। আর সেইসব সাজসরঞ্জামগুলোর সবই চীন থেকে আনতে হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খরচ অনেক বেড়ে যায়।
তবে ফটোগ্রাফি জগতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ম্যাটার্নিটি ফটোগ্রাফি। আজ থেকে ১০ বা ২০ বছর আগেও এ ধরনের ফটোগ্রাফির সঙ্গে একেবারেই পরিচিতি ছিল না মানুষ। তবে দিনে দিনে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নিরয ফটোগ্রাফির ফেসবুক পেজও তার প্রমাণ। ফারিয়া জানালেন, 'ম্যাটারনিটি ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে অনেক ক্লায়েন্টই অস্বস্তিতে থাকে। তবে স্বাভাবিকভাবেই ইদানিং ম্যাটারনিটি ফটোগ্রাফির সংখ্যা অনেক বাড়ছে। বিশেষ করে, ক্লায়েন্টের সাবধানতা অনেক জরুরি এসময়। সাধারণত গর্ভধারণের ৩০ থেকে ৩৩ সপ্তাহের মধ্যে এ ছবি তোলা হয়, তোলার সময়েও খুব সাবধান থাকতে হয়।
একই মতপোষণ করেন আরেক ম্যাটার্নিটি আর বেবি ফটোগ্রাফার শেখ আরসালান সৈকত। তিনি 'বেবি ফটোগ্রাফি-এক্সপ্রেশন এন ফটো স্টোরি'র কর্ণধার। তার মতে, এ ধরনের ছবি তোলাটা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ও সংবেদনশীল। তাই ছবি তোলার আগে, বারবার মা হতে যাওয়া নারীদের শরীরের খোঁজ নেন, তারপর ছবি তোলেন তিনি। সৈকতের মতে, ডেলিভারি সময়ের অন্তত ৩ মাস আগেই সাধারণত এ ধরনের ছবি তোলার উপযুক্ত সময়।
'তবে শুরুর দিকে ক্লায়েন্টের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। যদিও এখন অনেকেই এ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। গত মাসেই ৪টা ম্যাটারনিটি ফটোগ্রাফি করেছি।' এখন অনেকেই ম্যাটার্নিটি ফটোগ্রাফি করলেও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। এ ধরনের ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের শর্তগুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে বলেও মনে করেন সৈকত। বিশেষ করে, ক্লায়েন্টের স্বাস্থ্যের বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখা খুব প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। ছবি তুলতে গিয়ে অনেকসময়ই ক্লায়েন্ট অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিডিউল থাকা সত্ত্বেও পরে ছবি তুলেছেন বলেও জানান।
২০১২ সাল থেকে ডকুমেন্টারি তৈরির মধ্য দিয়ে ক্যামেরা হাতে নেন সৈকত। সেইসময়টায় ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করতেন। এরপর ২০১৭ সালের দিকে তিনিও শুরু করেন ম্যাটার্নিটি আর বেবি ফটোগ্রাফি। এখন প্রায় ১২৮ হাজার লাইক রয়েছে তার পেজটির।
ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করা সৈকতের এ ধরনের পেশা বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বললেন তার মায়ের কথা। তার মা ছোটবেলা থেকেই তার সব ছবি তুলে রাখতেন। এখনও খুব যত্ন করে ছবিগুলো রেখে দিয়েছেন। সেসব দেখেই প্রথমদিকে মনে হত এমন কিছু করা যায় কিনা, যার মধ্য দিয়ে বাচ্চা আর তার মা-বাবার স্মৃতিগুলোকে খুব সুন্দরভাবে ধরে রাখা যায়! সেখান থেকেই এই ভাবনা।
"প্রথম যখন একে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চাই, মা বাদে আর কেউ সেভাবে পাশে ছিল না। কিন্তু, মা যেভাবে আমার স্মৃতিগুলো আগলে রেখেছে; আমিও সেভাবে এর মধ্য দিয়ে অন্য মায়েদের স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে পারি। এজন্য কাজের এ ক্ষেত্রটা আমার খুব ভালো লাগে।"
তার মুখ থেকেই শুনলাম, ফটোগ্রাফি পেজটি মূলত একটি ফটো এজেন্সি। এখান থেকে তিনি বিভিন্ন আয়োজনে ফ্রিল্যান্সার ফটোগ্রাফার দিয়ে থাকেন। মাত্র ৫ বছর আগে বেবি ফটোগ্রাফি শুরু করা সৈকতের ছবির এজেন্সিতে এখনই ফুলটাইম ৫ জন ফটোগ্রাফার রয়েছেন। আর ১২ জন ফ্রিল্যান্সার ফটোগ্রাফার রয়েছে, যাদের কাজের ওপর ভিত্তি করে টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া তার এজেন্সিতে আরও ৬ থেকে ৭ জন সিনেমাটোগ্রাফার রয়েছে বলেও জানালেন তিনি।
মাত্র ৫ বছরেই এতো বড় অর্জন প্রসঙ্গে সৈকত বললেন, নতুন হলেও খুবই সম্ভাবনাময় এ পেশা। এ সময়ের মধ্যেই তার বেবি ফটোগ্রাফি-এক্সপ্রেশন এন ফটো স্টোরি একটি শক্তপোক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেছে, বলে একটু হাসলেন সৈকত।
তবে বতর্মানে যেভাবে এগুচ্ছে তাতে খুব অচিরেই এ ধরনের ফটোগ্রাফি আরও ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার জন্য বেশ ভালো অবস্থানে চলে গেলেও এতে অধ্যবসায় ও আন্তরিকতাটা খুবই জরুরি বলেই মনে করছেন সৈকত, ফারিয়া, শ্রাবণ সবাই।
খরচ
বেবি ফটোগ্রাফি বা ম্যাটারনিটি ফটোগ্রাফি দুটোর খরচ অনেকটা নির্ভর করে– ছবি তোলার কাজটা ইনডোর বা আউটডোর–কোথায় হবে তার ওপর।
বেবি ও ম্যাটারনিটি ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা খুবই জরুরি। এছাড়া বেবি ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে সাধারণত বেশকিছু প্রপস বা সরঞ্জাম লাগে তাই কিছুটা খরচ বেশি পড়ে যায় বলে জানাচ্ছিলেন সৈকত। মূলত সাড়ে ৬ হাজার থেকে শুরু হয়ে ২০-২৫ হাজার টাকার বিভিন্ন প্যাকেজে ছবি তোলা হয়।
শিশু ও প্যারেন্টিং বিষয়ক অ্যাপ 'টগুমগু'র চার্ট অনুযায়ী ৭ ও ১১ হাজার টাকার প্যাকেজ আছে। নিউবর্নদের জন্য ১১ থেকে ১৫ হাজারের প্যাকেজ, এক বছর ও দুই বছরের শিশুদের জন্মদিনের জন্য ১১ থেকে ১৫ হাজারের ভেতর বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে।