গিটারের ডাক্তার আব্দুর রফিক: মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট যার হাতে নতুন প্রাণ পায়!
সাইন্সল্যাব মোড়ে কলেজস্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির গেট দিয়ে এগুলেই ডানপাশে চোখে পড়ে সরু একখানি দোকান। সামনে সাইনবোর্ডে লেখা- রফিক ইলেকট্রনিক্স। আকার আকৃতির দিক থেকে একে ঠিক দোকান বলা যায় কিনা, সে নিয়ে সংশয় থেকে যায়। অথচ সিঁড়ির নিচের সরু এই দোকানটিতে বিভিন্ন সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাঁটিয়েছেন দেশসেরা সব সংগীতশিল্পী। লাকী আখন্দ, আইয়ুব বাচ্চু থেকে শুরু করে ইব্রাহীম আহমেদ কমল কিংবা শাফিন আহমেদ, কে আসেননি এখানে?
শিল্পীরা তাকে ভালবেসে ডাকেন 'গিটারের ডাক্তার'। আসল নাম মোহাম্মদ আব্দুর রফিক। পেশায় তিনি একজন মেকানিক। তবে অন্য আট-দশটা সাধারণ মেকানিকের মত তিনি নন। ষাটোর্ধ্ব জীবনের সিংহভাগ সময় তিনি দিয়েছেন নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র মেরামতের কাজে। নিজের মেধা ও কর্মদক্ষতায় বাংলাদেশের সংগীত জগতে অনেক আগেই নিজেকে অপরিহার্য করে তুলেছেন। এখনও সাইন্সল্যাবের ছোট দোকানটিতে গেলে দেখা মেলে এই কারিগরের। এখানেই দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন সমান গতিতে।
শুরুটা হয়েছিল এই এলিফ্যান্ট রোডেই
ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতির প্রতি ঝোঁক ছিল আব্দুর রফিকের। আর তাই দেখে বাবা-মা তাকে ভর্তি করে দেন 'রেডিও ইলেক্ট্রনিক ইন্ডাস্ট্রি' নামক একটি ওয়ার্কশপে। উদ্দেশ্য ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ শেখানো। এটি ১৯৭২ সালের কথা, রফিক তখন মাধ্যমিকের ছাত্র। এলিফ্যান্ট রোডের সেই ইনস্টিটিউট থেকে তিনি কোর্স সম্পন্ন করেন মাত্র তিন মাসে। নিজের দক্ষতা ও মেধার পরিচয় দেওয়ায় সেই ইনস্টিটিউটেই তাকে রেখে দেওয়া হয় কাজের জন্য।
ওয়ার্কশপটিতে হাতেকলমে কাজ করে আব্দুর রহমান দক্ষ হয়ে ওঠেন অল্পদিনে। ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম টেলিভিশন চালু হওয়ার পর তার ডাক পড়ে সেখানে। চট্টগ্রামে তার প্রধান কাজ ছিল অন্যান্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। সেসময়ই চট্টগ্রামের নানা পত্রপত্রিকায় তাকে নিয়ে লেখালেখি হয়।
চট্টগ্রাম থেকে ফিরে তিনি টেকনিশিয়ান হিসেবে যোগ দেন 'নিপ্পন ইলেকট্রনিকস' এ। ১৯৭৭ সালের শেষেরদিকে সাইন্সল্যাবে সিঁড়ির নিচে ছোট একটি দোকান ভাড়া নেন। মেকানিক হিসেবে এভাবেই শুরু হয় তার যাত্রা। এক বিকেলে এলিফ্যান্ট রোডের সেই দোকানেই তার স্মৃতিচারণে উঠে এলো ৪৬ বছরের দীর্ঘ জীবনের গল্প।
রেডিও-টেলিভিশন থেকে গিটার
যুগের চাহিদা বুঝে প্রথমে শুরু করেছিলেন রেডিও টেলিভিশন মেরামতের কাজ। কীভাবে মেকানিক থেকে হয়ে উঠলেন 'গিটারের ডাক্তার'? প্রশ্ন করতে গল্পের ঝুড়ি খুললেন আব্দুর রফিক।
'আমি তখন মেইনলি টেলিভিশন, রেডিও, টেপরেকর্ডার, এই ধরনের জিনিস রিপেয়ার করতাম। এর সাথে ছিলো অ্যামপ্লিফায়ার, কলের গান। এখন যে গিটার সবজায়গায় দেখা যাচ্ছে, এই গিটারগুলো তখন ছিল না। শুধু স্প্যানিশ আর হাওয়াইয়ান গিটার ছিল। ৭৮ সালের দিকে একবার এক বিদেশীর কাছে 'লেসপল' এর একটা গিটার দেখলাম। এই প্রথম বুঝলাম, ইলেকট্রনিক গিটার বলেও কিছু হয়।'
সাইন্সল্যাব মোড়ে এখন অসংখ্য বাদ্যযন্ত্রের দোকানের দেখা মিললেও সে সময়টা ছিলো ভিন্ন। মাত্র তিনটি বাদ্যযন্ত্রের দোকান, আর তাদের একমাত্র মেকানিক আব্দুর রফিক, এই ছিল সাইন্সল্যাবের চিত্র। ফলে দোকানদারদের সব ধরনের যন্ত্র মেরামতের কাজই রকিককে করতে হতো। একসময় এই দোকানদারদের অনুরোধেই নিজের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আব্দুর রফিক হয়ে উঠলেন গিটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক বাদ্যযন্ত্রের রোগ সারানোর কারিগর।
'আশির দশকে এই দোকানদারেরা আমাকে ধরলো যে এখন লিড গিটার, বেজ গিটারের যুগ আসছে। আমার এগুলোতে মনযোগ দিতে হবে। এরা সবাই আমাকে দিয়ে কাজ করাতো। প্রথমেই আমি পেলাম লাকি আকন্দের ছোট ভাই, হ্যাপি আকন্দের একটা লিড গিটার, ফেন্ডার স্কোয়ার কোম্পানির। আমাকে তখনও কেউ চিনতো না। '৮৩ সালে পেলাম বাচ্চু ভাইয়ের (আইয়ুব বাচ্চু) ইন্ডিয়ান গিবসন। এরা তখনও খুব একটা জনপ্রিয় হয় নি। মাঝেমাঝে কাজ আসতো, ছয় মাস কি এক বছর পর পর,' বললেন রফিক।
গিটারের কাজ শুরু করার পরে মূলত হাওয়াইয়ান গিটারের কাজ করতেন তিনি। বললেন, 'তখন আমার নিয়মিত কাস্টমার ছিলেন এনামুল কবীর, সাইদুজ্জামান, বকুল ভাই, ৭০ এর দশকের এসব জনপ্রিয় শিল্পী। আশির দশকের শুরুতে কিবোর্ড আসলো, গিটারের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। আমিও কাজের মধ্যে ডুবে গেলাম।'
শিল্পীদের ভরসা হয়ে উঠলেন আব্দুর রফিক
আব্দুর রফিক যখন শুরু করেছিলেন, বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি খুব বেশি বড় ছিল না। বিশেষ করে গিটার কিংবা ইলেক্ট্রিক গিটার বাদক ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন। সেই আশির দশক থেকে শুরু করে ২০০৬-০৭ সাল পর্যন্ত রফিকই ছিলেন ঢাকা শহরের একমাত্র লোক, যিনি গিটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক বাদ্যযন্ত্র মেরামত করতে পারতেন। ফলে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি বড় হওয়ার সাথে সাথে কাজ ও খ্যাতি বাড়তে থাকে রফিকের।
'কাজের চাপ আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে কীভাবে যেন ছড়িয়ে পড়লো যে গিটার আর বিদেশে পাঠাতে হবে না, দেশেই একজন আছে যে এগুলো মেরামত করতে পারে। এরপর একজন একজন করে আমার সাথে দেখা করতে এলো। কমল ভাই একদিন এলেন। বললেন, আমি তো জানতে পারলাম আপনি কাজ করেন, এমন লোক আমাদের দেশে আছে, অথচ আমরা চিনি না। তারপর লাবু ভাই, সেলিম হায়দার, ফুয়াদ এরা এলো,' বললেন রফিক।
আইয়ুব বাচ্চু রফিককে ডেকে নিয়ে যেতেন স্টুডিওতে। অন্যান্য শিল্পীরাও নিজে না আসতে পারলে কাউকে পাঠিয়ে দিতেন। একপাশে কাজ করছেন তিনি, অন্যপাশে বসে গিটার বাজাচ্ছেন আইয়ুব বাচ্চু, এমন ঘটনা অহরহ ঘটেছে বলে জানালেন রফিক। 'প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমার কাছে আসে নাই এমন শিল্পী তখন আছে বলে শুনি নাই। সবাই প্রায় আমাকে দিয়ে কাজ করাতো। যে কারণে পুরনো লোকেরা আমাকে খুব বেশি রেসপেক্ট করে।'
তারকাদের প্রিয় 'রফিক ভাই'
কাজ করতে করতে একপর্যায়ে শিল্পীদের বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন আব্দুর রফিক। শিল্পীরাই তাকে ভালোবেসে নাম দিয়েছিলেন 'গিটারের ডাক্তার'। বললেন, জীবিত কিংবা প্রয়াত অনেক শিল্পীর সঙ্গেই তার রয়েছে ঘনিষ্ঠ স্মৃতি।
প্রখ্যাত গিটারিস্ট লাবু রহমান জানালেন, শুরু থেকেই তার মতো অনেক গিটারিস্ট নির্ভরশীল ছিলেন আব্দুর রফিকের ওপর। 'শুরুতে ওনাকে কেউ ওরকমভাবে চিনতো না। আশির দশকে আমি গেলাম ওনার কাছে। দেখলাম উনি খুব অনেস্টলি কাজ করেন। আমার যত স্টুডেন্ট আছে, সবাইকে আমি রফিক ভাইয়ের কাছে যাওয়ার জন্য বলি। ঢাকা শহরে সব সিনিয়র মিউজিশিয়ান ওনার কাছে যেত।'
তারকাদের সাথে স্মৃতিচারণ জানতে চাইলে আব্দুর রফিক বলে চললেন একের পর এক ঘটনা। বললেন, 'বাচ্চু ভাইয়ের সাথে ছিলো আমার হাসি-ঠাট্টার সম্পর্ক। আমি যখন হজে যাচ্ছি, বাচ্চু ভাইকে বললাম দোয়া কইরেন। বাচ্চু ভাই তখন অসুস্থ। বললেন, আমি তো জান রেখে এসেছি সিঙ্গাপুরে, বডি নিয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলছি বাংলাদেশে!'
'লাকি আকন্দের সাথে আমার খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি আর্মানিটোলায় থাকতেন। সেখানে আবার আমার আত্মীয়ের বাসা। মৃত্যুর দুইদিন আগে বললেন, রফিক ভাই, আত্মীয়ের বাসায় বেড়িয়ে যান আর আমাকে দেখে যান। দুঃখজনক ব্যাপার, আমার খুব আফসোস হয় যে আর যাওয়া হলো না, লাকি ভাই চলে গেলেন। লাবু ভাইকে তো আমি দোকানে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়তে যেতাম। আমার দোকানদার লাবু ভাই, অন্য ছেলেরা ভয়ে ঢুকছে না দোকানে!'
'কমল ভাই একবার দোকানে এসে বসে আছেন। আমি তো চিনতে পারিনি। সে নব্বইয়ের দিকে। আমি বোকার মত জিজ্ঞেস করছি আপনি কি কিছু বলবেন ভাই? তিনি বললেন, আমি কমল! আরেকটা দুঃখজনক স্মৃতি হলো, নীলয়দা মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে আমাকে দেখতে এলেন। ঈদের দুইদিন পরে নীলয়দা মারা গেলেন। সবাই মাঝেমধ্যে আমাকে দেখতে আসতো। বালাম তো বিকেলে এসে এখানেই আড্ডা দিতো।'
'লাবু ভাইয়ের সাথে তো হাসিঠাট্টা লেগেই থাকে। আমাকে বলেন, সিঁড়ির তলায় বুড়া লোক কাজ করে। আমি গিটার বাজিয়ে লাবু হয়েছি। আমি তখন বললাম, আপনি গিটারে স্ট্রোক দিয়ে লাবু হয়েছেন, আমি গিটার খুলে রফিক হয়েছি,' এভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন রফিক।
যেখানে তিনি অনন্য
রফিকের কাছে কাজ করাতে হলে তিনটি শর্ত মানতে হয় সবাইকে। দোকানের দেয়ালে শর্তগুলো প্রিন্ট করে টাঙিয়ে রেখেছেন তিনি। তার প্রথম শর্ত, তাকে বিশ্বাস করতে হবে। অর্থাৎ তিনি কাজ সম্পর্কে, যন্ত্র সম্পর্কে যা বলবেন, তা মেনে নিয়ে করাতে হবে কাজ। এই বিষয়টিকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তিনি। কাজ করতে গেলে যন্ত্রের, বিশেষ করে কিবোর্ডের টোন মুছে যেতে পারে এবং যন্ত্র কখন কেমন কাজ করবে তার নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। তাই এ দুটিকেও শর্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন তিনি।
সাইন্সল্যাব মোড়ে এখন মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট বিক্রি করে এমন দোকানের সংখ্যা বেড়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের মত দোকানদারদেরও ভরসার নাম আব্দুর রফিক। তাদের প্রায় সকল কাজ তিনিই করেন। সিভিক মিউজিক পয়েন্টের মালিক দেলোয়ার হোসেন জানালেন, আজ ১৭-১৮ বছর যাবত রফিকের কাছে কাজ করাচ্ছেন তিনি। তার মতে, রফিক আসলে দেশসেরা টেকনিশিয়ান। এখানকার সবাই ভরসা করে তার ওপর।
ঢাকা মিউজিকের মালিক বিদু সরকার জানালেন, আজ ত্রিশ-পয়ত্রিশ বছর যাবত রফিককে দেখছেন তিনি। 'রকিক ভাইকে বলা যায় অল স্কয়ার। আমরা সবাই অনুরোধ করে তাকে এই লাইনে আনছি। উনি সবসময় ন্যায্যমূল্য রাখে। সব মিলিয়ে তিনি একজন ভালো লোক, অলরাউন্ডার বলা যায়। কারো কাছে নেতিবাচক কিছু কখনো শুনি নাই।'
রফিকের স্মৃতিচারণে যাদের কথা উঠে আসে, তাদের অন্যতম হাওয়াইয়ান গিটার বাদক সিদ্দিকুর রহমান বকুল। অন্য অনেকের মতো তিনিও রফিককে উল্লেখ করলেন একজন ভালো মানুষ হিসেবে। বললেন, 'সত্তরের দশকের শেষে রফিক ভাইয়ের সাথে আমার সখ্য। রফিক ভাই ওখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। তিনি খুবই সৎ মানুষ। আর মেকানিক হিসেবে তার মত কাজ কেউ করতে পারবে না।'
ভালোবাসায় আজও কাজ করে যাচ্ছেন
শিল্পীরা যেমন তাকে শ্রদ্ধা করেন, তেমনি তিনিও তাদের আপন করে নিয়েছেন। তাই অসুস্থ শরীরের নিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এখনও। তা কবে নাগাদ অবসর নেবেন? উত্তরে একটি কাহিনী শোনালেন তিনি।
'বসে বসে কাজ করতে হয় বলে ২০১২ সালে আমার কোমড়ে সমস্যা দেখা দিল। ডাক্তার বললো আপনি কাজ ছেড়ে দেন, আপনার কোন অষুধই লাগবে না। তখন কিবোর্ডের কাজ বন্ধ করেছি, কমল ভাই এসে জড়িয়ে ধরে বললেন, রফিক ভাই, বাংলাদেশে কোন টেকনিশিয়ান তৈরি হয় নাই এখনও। আপনি কাজ ছেড়ে দিলে তো আমাদের বিদেশে যেতে হবে। এই হলো ব্যাপার!', এক গাল হেসে বললেন তিনি।
তবে একচেটিয়া ব্যবসা হলেও কখনো কোন কাজের বিনিময়ে অন্যায্য অর্থ দাবি করেননি বলে জানালেন আব্দুর রফিক। যে কাজটির জন্য যতটুকু অর্থ না নিলেই নয়, তিনি ঠিক সে পরিমাণ টাকাই নেন।
টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবু হেনা মোহাম্মদ শামিম হোসেন নিজে হাওয়াইয়ান গিটার বাদক। সে সূত্রে আব্দুর রফিকের সাথে তার পরিচয় দীর্ঘদিনের। বললেন, 'বাংলাদেশের প্রথিতযশা যত গিটারিস্ট আছেন, তাদের সবার ভরসার জায়গা রফিক ভাই। বড় বড় শিল্পীরা সম্মানে তার দোকানে মাথা নিচু করে ঢোকে। রফিক ভাইয়ের সম্মান দেখে আমার মনে ঈর্ষা জাগে। এই সম্মান টাকা দিয়ে কেনা যায় না। রফিক ভাই একজন নীতিবান মানুষ। ঠিকমতো টাকা নিলে তার ৭ তলা ভবন থাকতো।'
তবে এ নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই রফিকের। তারকা কিংবা সাধারণ মানুষ, তার ফি সবসময় সমান। এই কাজ করেই ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনই পালন করেছেন হজ। তাই নিজের কাজ নিয়ে বেশ আনন্দেই আছেন। যতদিন শরীর ভালো থাকবে, ততদিন কাজ করে যেতে চান মোহাম্মদ আব্দুর রফিক।