মুখ দিয়ে তারা তোলে গানের তাল, বাদ্য ছাড়া করে বাদ্যের বোল!
'আসলেই এটা মুখ দিয়ে করেছো তোমরা? শুধু মুখ দিয়ে এত ধরনের আওয়াজ বের করা সম্ভব!' এ ধরনের কথা শুনতে শুনতেই স্টেজ থেকে নামেন বিটমোস্ফিয়ারের সদস্যরা। অবাক হয়ে যাওয়া দর্শকদেরকে আরেকটু অবাক করে দিয়ে তারা জানান, 'এর সবকিছুই মুখ দিয়ে'। এটাই অ্যাকাপেলা আর বিটবক্সিংয়ের বৈশিষ্ট্য।
বাংলাদেশে বিটবক্সিং এর প্রচলন ২০১০-এর পর থেকে শুরু হলেও, অ্যাকাপেলা দল একদমই নতুন। বাংলা ভাষার প্রথম অ্যাকাপেলা দল হলো বিটমোস্ফিয়ার। বিটবক্সিং ও অ্যাকাপেলার ফিউশন করে তারা তরুণ প্রজন্মের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
মুখ ও গলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শব্দ ও তাল বের করার শিল্প বিটবক্সিং হিসেবে পরিচিত। আর অ্যাকাপেলা হলো মুখ বা শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে বাদ্যের শব্দ বের করে একটি গান পরিবেশনা করা। অ্যাকাপেলা একটি দলগত পরিবেশনা। এতে বিটবক্সিংয়ের ব্যবহারও হয়ে থাকে।
শুরুর গল্প
বিটমোস্ফিয়ার যাত্রা শুরু করে ২০২১ সালে। কিন্তু এর আগেও তাদের কয়েকজন সদস্য বিটবক্সিং ও অ্যাকাপেলা করে আসছে আরও ১৩ বছর আগে থেকে। ২০০৮ সালে বিটমোস্ফিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মোকতাদির দেওয়ান আর তার কয়েকজন বন্ধু মিলে 'ওয়ান' নামের একটি দল তৈরি করেছিল, যারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিটবক্সিং করে বেড়াতেন। পরে সেই দলটি বেশিদিন টেকেনি।
২০১৪ সালে মোকতাদির দেওয়ান, রনেশ বিশ্বাসসহ আরো কয়েকজন মিলে তৈরি করেন 'বিটবক্স বাংলাদেশ কমিউনিটি'। বাংলাদেশে বিটবক্সিং নিয়ে কাজ করা তরুণদের মাঝে বিটবক্সিং জনপ্রিয় করা ও বিশ্বমঞ্চে বিটবক্সিং দিয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।
বিটবক্স বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার পর অনেক তরুণ বিটবক্সিং শুরু করেন। যারা ইউটিউব দেখে বিটবক্সিং শিখেছে, তারাও নিজেদের একটি কমিউনিটি পেয়ে যায়। বাংলাদেশে বিটবক্সিং ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে। পরবর্তীতে বিটবক্স বাংলাদেশের কয়েকজন সদস্য মিলেই ২০২১ সালে তৈরি করেন বিটমোস্ফিয়ার।
বিটবক্সিং এর সাথে অ্যাকাপেলা
"বিটমোস্ফিয়ারের সবাই বিটবক্সার হলেও, অ্যাকাপেলা জনরায় তারা নিজেদের দক্ষ করে তুলছেন দিনদিন। কারণ অ্যাকাপেলার অনেক অংশই বিটবক্সিং এর মাধ্যমে করা যায়," বলেন মোকতাদির দেওয়ান।
বাংলাদেশে অ্যাকাপেলার মতো অপ্রচলিত জনরায় কীভাবে আসা হলো– এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "ছোটবেলায় যখন গান শুনতাম, তখন মূল কণ্ঠ ছাড়াও দ্বিতীয় বা তৃতীয় কণ্ঠ যাদের ছিল, যারা হারমোনিক দিত গানে– আমি সবসময় তাদের গলার কাজ লক্ষ্য করতাম। মায়ের কাছে রবীন্দ্র-নজরুলগীতি শেখা হয়েছে। কিন্তু তাদের গানে কখনোই হারমোনিক ব্যবহার হতো না। যখন মাইকেল জ্যাকসন বা ব্যাকস্ট্রিট বয়েজ এর গান শুনলাম প্রথমবার, তখন লক্ষ্য করলাম তাদের গানে অনেকগুলো হারমোনিকের ব্যবহার। কয়েকজনের কণ্ঠ থাকতো হারমোনিক হিসেবে। তখন থেকেই মূলত কণ্ঠের মাধ্যমে এই কাজ বা অ্যাকাপেলার দিকে আকৃষ্ট হই। বিটবক্স বাংলাদেশ শুরু হওয়ার পর সমমনা কয়েকজন মিলে বিটবক্সিং এর সাথে অ্যাকাপেলার ফিউশন তৈরি করি আমরা'।
বিটমোস্ফিয়ারের ফেসবুক পেজে অনেকগুলো জনপ্রিয় গানের কভার রয়েছে। যেখানে তারা বিটবক্সিং আর অ্যাকাপেলার ফিউশন করে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সোলস, হৃদয় খান, মিনার, প্রীতম, ফুয়াদ, তপু, স্টয়িক ব্লিসসহ আরো অনেক জনপ্রিয় শিল্পীর গান তারা বিটবক্সিং ও অ্যাকাপেলার মাধ্যমে কভার করেছে। এতে করে সবাই পরিচিত হতে পারছে অ্যাকাপেলার সাথে। এটি কী ও কীভাবে এর মাধ্যমে কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই দারুণভাবে যেকোনো গান তোলা যায়, তা দেখতে পাচ্ছে সবাই। আর সাথে বিটবক্সিং এর ফিউশন তো আছেই।
বিটমোস্ফিয়ারের পথচলা
বিটমোস্ফিয়ার প্রথম থেকেই লাইভ পারফর্ম্যান্সের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। এতে করে তারা সকল ধরনের শ্রোতাদের কাছে পৌঁছতে পেরেছে সহজে। দলের সবার আছে একটি করে গালভরা স্টেজনেম। 'বিটবাক্স', 'ডিপক্স', 'ইনভ্যালিড', 'গ্লিজমো', 'সাইকোভার্স', 'জার্ডো', 'রাফটেকনিক্স', 'অ্যানার্কি' ও 'ভাষা'। নামগুলো শুনতে একটু অন্যরকম লাগলেও, এগুলোই বিটমোস্ফিয়ারের সদস্যদের স্টেজনেম।
২০২১ থেকে অনেকগুলো ইভেন্ট ও কনসার্টে অংশ নিয়েছে বিটমোস্ফিয়ার। এখন পর্যন্ত প্রায় সকল কনসার্টেই তারা দারুণ সমর্থন পেয়েছে। বিশেষ করে তরুণ শ্রোতারা একবার শুনলেই বিটবক্সিং এর ভক্ত হয়ে যায়। আবার বিটবক্সিং এর সাথে অ্যাকাপেলা থাকার কারণে সকল বয়সের শ্রোতাদের কাছে তারা গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।
"অন্যান্য শিল্পীদের মতো আমরা মঞ্চে উঠে নিজেদের গান পরিবেশনা করেই শুধু নেমে যাই না। যতটুকু সময় পাই, তার পুরোটা সময় আমরা চেষ্টা করি শ্রোতাদের সাথে সংযুক্ত থেকে পারফর্ম করার। এতে থাকে গানের মাঝেই শ্রোতাদের সাথে কথা বলা, গানের ভেতরে বিভিন্ন অভিনয় ঢুকিয়ে গানকে আকর্ষণীয় করাসহ আরও অনেক কিছু। এ কাজগুলো আমাদের জন্য সহজ হয়, কারণ আমাদের কোনো বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নেই। পুরোটাই মুখের কারুকাজ। ফলে হঠাৎ গান থামিয়ে শ্রোতাদেরকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা, তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে সে অনুযায়ী ইম্প্রোভাইজ করা- সবই করি আমরা। পুরো আয়োজনটা একটা মিউজিকাল অ্যাক্টের মতো হয়," বলেন মোকতাদির।
বিভিন্ন ব্যান্ড বা সংগীত শিল্পী কনসার্টে তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোই গেয়ে থাকে শ্রোতাদের জন্য। কিন্তু বিটমোস্ফিয়ার এদিক দিয়ে আলাদা। তারা কনসার্টের শ্রোতাভেদে পরিবেশনা করে থাকে। যেমন– শিশুদের জন্য একটি কনসার্টে তারা সবসময় যেমন বিটবক্সিং বা অ্যাকাপেলা করে থাকে, তা করেনি। শিশুরা যেন মজা পায়, বুঝতে পারে তারা কী করছে- সেভাবেই তারা আয়োজন সাজিয়েছিল। আবার ঢাকা লিট ফেস্টের কনসার্টে অংশ নিয়েছিল বিটমোস্ফিয়ার। সেখানে তরুণ থেকে বৃদ্ধ— সব বয়সের শ্রোতাই ছিল। সব বয়সের শ্রোতাদের জন্য আয়োজন করেছিল তারা সেদিন। লিট ফেস্টের কনসার্টে আধা ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল তাদের। কিন্তু সেদিন শ্রোতা আর আয়োজকদের অনুরোধে টানা এক ঘণ্টা পারফর্ম করতে হয়েছিল বিটমোস্ফিয়ারকে।
২০২৩ সাল ছিল বিটমোস্ফিয়ারের জন্য সবচেয়ে সেরা সময়। এ বছর তারা দেশের অন্যতম বড় দু'টি কনসার্ট, নাইট উইথ প্রীতম হাসান আর কোক স্টুডিও বাংলা কনসার্টে অংশ নিয়েছে। এ দু'টি কনসার্টের হাজার হাজার শ্রোতা তাদের দারুণ পারফর্ম্যান্সে মেতে উঠেছিল। কোক স্টুডিও বাংলার কনসার্টে প্রায় ৬২ হাজার দর্শকের সামনে বিটবক্সিং ও অ্যাকাপেলার মাধ্যমে নিজেদের গান পরিবেশনা করে তারা। এটা এখন পর্যন্ত বিটমোস্ফিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
বিটমোস্ফিয়ার এখন নিয়মিত বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নিচ্ছে। যার ফলে দেশে বিটবক্সিং ও অ্যাকাপেলার জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনদিন। পরিচিতি লাভের জন্য এতদিন অন্যান্য শিল্পীদের জনপ্রিয় গানের বিটবক্সিং ও অ্যাকাপেলা ভার্সন গেয়েছে বিটমোস্ফিয়ার। তবে এখন তারা নিজেদের গান তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে। ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারিতে আসবে বিটমোস্ফিয়ারের নতুন গান।
প্রতিকূলতার মাঝেই এগিয়ে যাওয়া
বাংলাদেশে বিটবক্সিং আর অ্যাকাপেলার মতো একদম নতুন জনরা নিয়ে মূলধারার শ্রোতাদের সামনে এসেছে বিটমোস্ফিয়ার। যার ফলে নানান ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছে। অন্যান্য জনরার শিল্পীরা তাদের নিজেদের মতো আরো অনেক শিল্পীকে পাশে পায়। কিন্তু বিটমোস্ফিয়ার দেশের একমাত্র অ্যাকাপেলা গ্রুপ হওয়ার কারণে পাশে পায়নি কাউকে।
প্রতিটি কনসার্টে বিটমোস্ফিয়ার মাইক নিয়ে সমস্যায় পড়ে। কারণ এখনো দেশের কোনো সাউন্ড সিস্টেমের লোকরাই মানতে চায় না যে মঞ্চে একসাথে নয়জনের জন্য নয়টি একই মানের মাইক দরকার হতে পারে। বেশিরভাগ সাউন্ডের লোকদের কাছে নয়টি একই মানের মাইক থাকেও না। এমনও হয়েছে যে তারা একটি কনসার্টে যাওয়ার পর দেখেছে সাউন্ড সিস্টেমের কাছে নয়টি মাইকই নেই। বিটমোস্ফিয়ারে বাদ্যযন্ত্রের বালাই নেই। মুখই তাদের বাদ্যযন্ত্র। সেই মুখের জন্যই তারা পর্যাপ্ত মাইক পায় না। মাইক থাকলেও দেখা যায় গান চলাকালীন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়াররা হঠাৎ করে কয়েকজনের মাইকের সাউন্ড কমিয়ে দেয়।
এছাড়াও, বিভিন্ন এজেন্সির দ্বারা আয়োজিত কনসার্টে বিটমোস্ফিয়ারকে যথাযথ সম্মানী দেওয়া হয়নি অনেক সময়। এ ব্যপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ারও সুযোগ পাওয়া যায়নি। নতুন ও তুলনামূলক কম পরিচিত হওয়ার কারণে বিটমোস্ফিয়ারকে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি।
এছাড়াও, তাদেরকে প্রায় সময়ই এক অদ্ভুত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মোকতাদির বলেন, "অনেক সময়ই মিডিয়ার লোকেরা আমাদেরকে নিয়ে সংবাদ করার আগে জিজ্ঞেস করে আমাদের দলে কোনো নারী সদস্য আছে কিনা! যখন উত্তরে না শুনে, তখন তারা আমাদেরকে নিয়ে আর কাজ করতে চায় না। তারা কি বেশি কভারেজের জন্য নারী সদস্য চায়? আমাদের প্রতিভা কি কভারেজের জন্য যথেষ্ট না? এমন পরিস্থিতি গুলো খুবই কষ্টদায়ক।"
অনেক বড় বড় রেকর্ডিং লেবেল থেকে বিটমোস্ফিয়ারকে ডাকা হয়েছে কাজ করার জন্য। কিন্তু তারা অ্যাকাপেলার মাঝে কোনো একটি বাদ্যযন্ত্র, যেমন— কিবোর্ড, বেস বা গিটারের অংশ ঢুকিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে থাকে। অ্যাকাপেলার মূল অর্থ হলো, এতে কোনো বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার থাকবে না। সম্পূর্ণ গান তৈরি হবে মুখ, গলা বা শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে যে শব্দ তৈরি হয়- তা দিয়ে। আর বিটমোস্ফিয়ারের সবচেয়ে বড় অংশ হলো বিটবক্সিং।
তা সত্ত্বেও রেকর্ডিং লেবেল থেকে অনুরোধ আসে কোনো একটি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের। যার ফলে বড় রেকর্ডিং লেবেলের সাথে এখনো কাজ করা হয়ে ওঠেনি বিটমোস্ফিয়ারের।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
"আমরা চাইলেই নিয়মিত বিভিন্ন গান কভার করে সামাজিক মাধ্যমে ছাড়তে পারি। কিন্তু আমরা প্রতিটা গানের পেছনে সময় দেই। সংখ্যার থেকে গুণগত মানের দিকে আমরা বেশি নজর রাখি। কেউ যেন বলতে না পারে যে, আমরা যেন-তেনভাবে গান কভার করে সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা কুড়াচ্ছি," বলেন ভাষা।
বিটমোস্ফিয়ার কনসার্ট বেশিরভাগ সময়েই ইতিবাচক সাড়া পায় দর্শকদের কাছ থেকে। লাইভ কনসার্টে দর্শকরা কখনো মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। সবাই বেশ উপভোগ করে তাদের আয়োজন। এর পেছনে একটি কারণ হলো যে বিটবক্সিং এর সাথে অ্যাকাপেলার ফিউশন বাংলাদেশে একদমই নতুন। নতুন জিনিসের প্রতি সবার গ্রহণযোগ্যতা সাধারণত কম থাকে প্রথমে। কিন্তু বিটমোস্ফিয়ারকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। কারণ তাদের অনন্য পারফরম্যান্সে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায় প্রথম দেখাতেই। মুখ আর গলা দিয়ে যে এতকিছু করা যায়, তা দেখে অবাক লাগা কাটতে না কাটতেই তারা সবাইকে মাতিয়ে তোলে সুর আর তালের অনবদ্য আয়োজনে।
বাংলাদেশে বিটমোস্ফিয়ার যেমনই থাকুক, বিশ্বব্যাপী বিটবক্সিং কমিউনিটিতে সবাই একনামে বিটমোস্ফিয়ার ও এর সদস্যদের চেনে। বিশ্বের বিভিন্ন বিটবক্সিং প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নেয় তারা। নিজেদের গুণে বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে তারা সবাই।
বিটমোস্ফিয়ারের সদস্যরা একেকজন একেক বয়সের। ৩৫ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সী সদস্যও আছেন দলে। এমন অবস্থায় ভবিষ্যতে বিটমোস্ফিয়ারকে সবাই শখ হিসেবে নেবে নাকি পেশাগতভাবেই চালিয়ে যাবে এ কাজ— এমন প্রশ্ন করলে আহনাফ অনিন্দ্য (স্টেজনেম গ্লিজমো) বলেন, "আমরা কেউই কখনো বিটবক্সিং বা অ্যাকাপেলা থেকে দূরে থাকতে চাই না। কিন্তু বর্তমানে দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির যে অবস্থা, তা দেখে পেশা হিসেবে এটা বেছে নেয়াটা সমীচীন মনে হয় না আমার কাছে। কিন্তু শখ হিসেবে আমি আজীবন বিটমোস্ফিয়ারে থাকতে চাই। যদি কখনো মনে হয় যে আমরা এর মাধ্যমেই জীবিকা চালিয়ে নিতে পারবো, তবে এটাই হবে আমার পেশা এবং নেশা।"
নিজেদের নতুন গান আসলে শ্রোতাদের কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার আশা করে বিটমোস্ফিয়ার। তারা যেতে চায় আরও বড় বড় কনসার্টে। বিটমোস্ফিয়ারের এ দারুণ যাত্রা সবেমাত্র শুরু। সব প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে তারা যেতে চায় বহুদূর।