ঢাকার শেষ কিছু ডুপ্লেক্স বাড়ির গল্প
৮ হাজার ১০০ বর্গফুটের খিলগাঁওয়ের এই প্লটটির দিকে তাকালে হয়ত আঁচই করতে পারবেন না, কয়েক মাস আগেও তা দেখতে কেমন ছিল। এক পাশে একটি হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক আর মাঝখানে ছোট উঠোনসহ ইউ-আকৃতির একটি ছিমছাম বাড়িতে এখানে পরিবারসহ থাকতেন মাহবুবুল ইসলাম রনি।
উঠোনের মাঝখানে ছিল একটি বিশাল নিম গাছ। তার ছায়ায় ঢেকে থাকত পুরো বাড়ি। উত্তরের দিকে ছিল একটি কদম গাছ, বর্ষায় সর্ষে-হলুদের মতো টেনিস বলের আকারের কদম ফুল ছড়াত স্নিগতা।
আর মূল ফটকের কাছেই ছিল কামিনী গাছ। তার সাদা তারকা-আকৃতির ফুল শুধু রাস্তায় নয়, পুরো তিলপাড়া এলাকার বাতাসে মুগ্ধতা ছড়াত।
রনি বললেন, 'আমরা গাছগুলো কাটতে চাইনি। প্রথমে কয়েকটি ডাল কাটি, কিন্তু নির্মাণকর্মীরা বলল, মাটি ঠিক করতে শিকড় তুলে ফেলতেই হবে।' গাছগুলো কেটের ফেলার পরই যেন পুরো এলাকা নির্জীব হয়ে গেল।
এ জায়গায় এখন আরেকটি একটি চারতলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন রনি।
তিনি বলেন, 'এক সময় আমরা নিচ তলা থেকেও সূর্যের আলো এবং তাজা বাতাস পেতাম। কিন্তু গত ১০ বছরে, উঁচু ভবনগুলো এলাকাটিকে খুবই আঁটসাঁট করে ফেলেছে।'
রনির সন্তানদের কয়েক বছরের মধ্যে বিয়ে হতে যাচ্ছে, তাই পরিবারের কথা ভেবে ভবনটিকে বহুতলে রূপান্তরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ইতোমধ্যে ঠিকাদাররা ভবনের পাইলিং ও ফাউন্ডেশনের কাজ শেষ করেছে; কামিনী, নিম বা কদম গাছের কিছুই অবশিষ্ট নেই এখন আর।
ঢাকার মাটি ফুঁড়ে আকাশ ছুঁয়েছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। নগরের এই আধুনিক স্থাপত্যের মধ্যে এখনো হয়ত খুঁজলে সত্তর ও আশির দশকের কিছু পুরোনো বাড়ির দেখা মিলবে।
এই দশকগুলো ছিল ঢাকার স্থাপত্যের বিবর্তনের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। আধুনিক নকশা এবং উপনিবেশিক ছোঁয়ার মিশেলে তৈরি হয়েছিল এসময়ের অনেক বাড়ি।
ধানমন্ডি ও মালিবাগের ডুপ্লেক্স বাড়ি থেকে শুরু করে আগারগাঁওয়ের সরকারি কলোনি—এই সব ভবন যেন একটি শহরের ঐতিহ্য এবং মানুষের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গল্প বলছে, বলছে এক নতুন ঢাকার গল্প।
মোঘল ও নবাবী স্থাপনা থেকে আধুনিক স্থাপত্য
পুরান ঢাকার অলিগলি ও ভবনগুলোর বাইরে পা রাখলেই দেখা মেলে সত্তর ও আশির দশকে গড়ে ওঠা এক নস্টালজিক নতুন ঢাকার।
বিশ্বব্যাপী আধুনিক স্থাপত্যের বিকাশের সময়ে, পূর্ব পাকিস্তানে শুরু হয় ডুপ্লেক্স বাড়ির নির্মাণ। ধানমন্ডি, মালিবাগ, মগবাজার, শান্তিনগর, আগারগাঁও, গুলশান ও বনানির মতো এলাকাগুলো ঘুরলে আজও দেখতে পাওয়া যায় এমন সব বাড়ি, যেখানে রয়েছে একটি বারান্দা এবং পিছনে ছোট্ট উঠান, যা সেই সময়ের স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম চিহ্ন।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, "এখানকার রাজনৈতিক বিবর্তনের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ঢাকাকে পাঁচবার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। মুঘল এবং নবাবী যুগে, ঢাকার স্থাপত্য প্রধানত ছিল রাজপ্রাসাদ, মসজিদ, কালভার্ট এবং প্রশাসনিক কাঠামো দিয়ে সাজানো। 'স্থাপত্য' শব্দটি ছিল শুধু অভিজাত শ্রেণীর জন্য"।
পাকিস্তান আমলে, ঢাকাকে অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন এখানে সরকারি ও ব্যাংকিং চাকরিতে নিযুক্তদের জন্য আবাসনের প্রয়োজন তৈরি হয়। এই চাহিদা পূরণে ৫০ ও ৬০-এর দশকে আগারগাঁও, মতিঝিল এবং তেজগাঁওয়ের বেশ কয়েকটি কলোনি গড়ে ওঠে।
দুইতলা বিশিষ্ট এই বাড়িগুলো ছিল মধ্যবিত্তদের স্বপ্নের প্রতীক। এখানে বিলাসিতার চেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হতো প্রশস্ততা আর কার্যকারিতায়।
অভিজাত ধনী পরিবারদের প্রথম পছন্দ ছিল ধানমন্ডি এলাকা। এখানকার দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়িরগুলোতে ছিল খোলা ছাদ, প্রশস্ত বারান্দা আর উঠান—সব মিলিয়ে যেন একান্ত এবং মুক্ত আবাসনের এক নিখুঁত উদাহরণ।
আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়ায় তৈরি এই বাড়িগুলোতে ছিল সোজাসাপ্টা নকশা, আয়তাকার গঠন এবং বড় জানালা, থাকত না আলো-বাতাসের কোনো কমতি।
মালিবাগের ডুপ্লেক্স বাড়িগুলো ধানমন্ডির মতো এতটা জমকালো না হলেও ছিল বেশ সুশৃঙ্খল। শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি এই বাড়িগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ব্যবহারিক নকশা। টালি ছাদ, মোজাইক মেঝে, ছোট একটি লন বা গ্যারেজ—সব মিলিয়ে ছিল এক সহজ-সরল অথচ কার্যকর ডিজাইন। নিচতলায় থাকতো বসার জায়গা এবং উপরের তলায় শয়নকক্ষ।
পুরোনো বাড়ি: রাখব নাকি ভেঙে ফেলব?
আমাদের শহরের বিবর্তন বোঝা যায় আবেগগত এবং ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বলেন নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব।
তিনি বলেন, "১৯৯০ সালে, যখন আমি ধানমন্ডি লেকের নকশা তৈরি করছিলাম, তখন খুব অল্প কয়েকটি বাড়িই লেকের দিকে মুখ করে ছিল। সেসময় ডুপ্লেক্স বাড়িগুলোর সামনে এবং পেছনে খোলা জায়গা থাকত। কিন্তু লেকের কাজ শেষ হওয়ার পর জমির মালিকেরা বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন"।
"কয়েক বছরের মধ্যেই লেকের পাশের ৮০ শতাংশেরও বেশি অ্যাপার্টমেন্ট হয়ে যায় লেকভিউ অ্যাপার্টমেন্ট। এভাবেই একটি শহর তার বাসিন্দাদের জন্য নতুনভাবে সাজানো সম্ভব," বলেন ইকবাল হাবিব।
যেখানে কিছু মানুষ উচ্চমানের আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যে জমি বা প্লট কিনে নিতে পারছে, সেখানে অন্যরা রাস্তায় বসবাস করছে বা মৌলিক নগর সুবিধা থেকে বঞ্চিত—এটিকে অন্যায্য বলে মনে করেন এই নগর পরিকল্পনাবিদ।
তার মতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা উচিত। তিনি বলেন, "অবশ্যই বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু যারা ইতোমধ্যে এই শহরের মধ্যে আছে, তাদের কী করব? তাদের কি আমরা বাইরে বের করে দেব?"
তিনি আরও বলেন, "জমির পরিবর্তে মানুষের পরিবার সদস্যদের সংখ্যার ভিত্তিতে আবাসনের ব্যবস্থা করা উচিত। একটি পরিবারের জন্য বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স তৈরির বদলে, বহুতল ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে, যেখানে অনেক মানুষ মৌলিক সুবিধাসহ বসবাস করতে পারবে।"
তবে আরেক পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান এই ধারণার বিপক্ষে। তার মতে, পুরোনো ভবনগুলো ধ্বংস না করে, শহরটির বিকেন্দ্রীকরণে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে অন্য জেলা থেকে ঢাকায় লোকজন আসা বন্ধ হয়।
তিনি বলেন, "শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, উন্নত জীবনযাপন—এই সব কারণে মানুষ তাদের জন্মস্থান ছেড়ে শহরে চলে আসে। এতে শহর এখন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।"
ডুপ্লেক্সের স্বপ্ন: ধানমন্ডি ও মালিবাগ
সত্তর এবং আশির দশকে ঢাকায় ডুপ্লেক্স বাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে, বিশেষ করে ধানমন্ডি ও মালিবাগের মতো এলাকাগুলোতে।
পাকিস্তান সরকারের সময়ে, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য পরিকল্পিত কলোনি গড়ে তোলা হয়, যেমন আগারগাঁও এলাকায়।
সেসময়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থা অনুযায়ী, এই কলোনিগুলো তৈরি হয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের থাকার জন্য।
এসব কলোনি ভবনের নকশা ছিল খোলামেলা, রাস্তা ছিল প্রশস্ত এবং গাছগাছালিতে ভরপুর। ছিল খেলার মাঠ ও বিস্তর খালি জায়গা। স্কুল, মসজিদ, ছোট বাজারও ছিল, যা কলোনিকে স্বনির্ভর করে তুলেছিল।
ঠিক একইভাবে বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সাংবাদিক শফিকুল আলম তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সেসময়ের মতিঝিল এজিবি কলোনির দৃশ্য সম্পর্কে লিখেছিলেন।
তিনি লিখেছেন, "তেমন কোনো দেয়াল ছিল না। ঢাকা ছিল এক বিরাট খালি জায়গা, যেখানে ছিল পুকুর আর কিছু ছোট ছোট রাস্তা। এজিবি কলোনির তিনটি অংশের মধ্যেও কোনো দেয়াল ছিল না। দেয়াল ছিল না রেলওয়ে কলোনি, টি অ্যান্ড টি কলোনি বা ব্যাংক কলোনিতেও। শুধু মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে একটি ছোট দেওয়াল ছিল, কারণ মেয়েদের জন্য আলাদা জায়গা দরকার ছিল।"
"রেলওয়ে বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা শাহজাহানপুর এবং কমলাপুরে বাংলো ধরনের বাড়িতে থাকতেন। আমার স্পষ্ট মনে আছে, অনেক বাড়িরই দেওয়াল ছিল না। আমরা তাদের আঙিনায় গিয়ে শিউলি ফুল তুলতাম বা সবুজ কাঁচা আম পেতাম। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনও ছিল খোলা। আমরা শান্টিং লাইনে যাওয়ার জন্য শর্ট কাট নিতাম, যেখানে লোকোমোটিভগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোচের সাথে সংযুক্ত হতে অপেক্ষা করত।"
"৮০-এর দশকে ঢাকা শহরে বড় আকারে দেয়াল তৈরি হতে শুরু করল। কিন্তু তা কি প্রয়োজন ছিল? আমি মনে করি না। মতিঝিল কলোনির তিনটি অঞ্চলের আলাদা হওয়ার কোনো দরকার ছিল না। তবুও, দেয়াল তৈরি করা হলো তাদের জায়গা আলাদা করতে। শান্টিং লাইনের চারপাশ, রেলওয়ে কলোনি, টি অ্যান্ড টি কলোনি, ৬০-এর দশকের রেলওয়ে বাংলো, আমাদের প্রাথমিক স্কুল এবং অন্যান্য খোলা জায়গাকে ঘিরে দেওয়া হলো। এমনকি একতলা বাড়িতেও দেয়াল উঠতে শুরু করল। ঢাকা হয়ে গেল দেয়ালঘেরা শহর," এই কথাগুলো বলে শেষ করেছেন তিনি।
১৯৭০-৮০ দশকের স্থাপত্যশৈলী
১৯৭০ এবং ১৯৮০ দশকে ঢাকা শহরের স্থাপত্য ছিল এক ধরণের পরিবর্তনের সময়কাল। আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর প্রভাব দেখা যায়, যেখানে গড়পড়তা নকশা ছিল সাদাসিধে ও কার্যকরী। শহরের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য এসব ভবনের নকশা করা হয়েছিল, যাতে মানুষ সহজে বসবাস করতে পারে।
প্রায় সব ভবনের ছাদ ছিল সমতল এবং আকারে বাক্সের মতো। ঢাকা শহরের গরম এবং আর্দ্র পরিবেশকে মাথায় রেখে, ভবনগুলোতে বড় বড় জানালা এবং গ্রিল ব্যবহার করা হতো যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে।
এই বাড়িগুলোর নকশা ছিল খুবই ব্যবহারিক, যেখানে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। অন্যান্য ঘরের সাথে শোবার ঘরের যথাযথ গোপনীয়তা বজায় রাখা হতো এবং বাড়ির সামনে বড় খোলামেলা জায়গা রাখা হতো।
রুমগুলো ছিল পর্যাপ্ত আকারের, যাতে কম শক্তি ব্যবহার করে পুরো বাড়ি শীতল রাখা যায়। বাড়ির বাইরের দিকে উল্লম্ব জানালা, অনুভূমিক ছাঁদ ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা ছিল, যা বাড়িগুলোকে শক্তি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব করে তোলে।
এই সময়ের নকশায় অবশ্য পুরোনো বাংলা স্থাপত্যের কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন, মোঘল আমলের উঠান এবং ছায়াযুক্ত বারান্দার পরিবর্তে আধুনিক নকশা প্রাধান্য পেতে শুরু করে। নতুন নকশাগুলো ছিল আধুনিক এবং সুবিধাজনক, পাশাপাশি বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাসের মতো আধুনিক সুবিধাগুলোও যুক্ত করা হয়েছিল।
প্রশস্ত রাস্তা আর সবুজ জায়গাগুলো শহরের বাইরে সময় কাটানোর জন্য উৎসাহ দিতো। শিশুরা সারা দিনে ক্রিকেট খেলে সময় কাটাতো, আর সন্ধ্যায় পরিবারের সবাই বেরিয়ে আসতো হাঁটতে।
মালিবাগের সাধারণ ডুপ্লেক্সগুলোতে মানুষের জীবন ছিল একেবারে সহজ, সবার মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। প্রতিবেশীরা একে অপরকে ভালোভাবে জানতো, আর ঘরগুলো ছিল অতিথিদের জন্য সদা প্রস্তুত।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার চেহারা পালটে যেতে শুরু করলো। ৮০ এবং ৯০-এর দশকের শেষ দিক থেকে শহরে নতুন নতুন সুউচ্চ ভবন আর ব্যবসায়িক ভবন গড়ে উঠতে থাকে।
ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে পুরোনো ডুপ্লেক্স আর একতলা বাড়িগুলো।
আগারগাঁওয়ের সরকারি কলোনিগুলো একসময় পরিকল্পিত নগরী হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে সেখানেও রক্ষণাবেক্ষণ সমস্যা এবং জনসংখ্যার বাড়তি চাপ দেখা দেয়। ফলস্বরূপ, বহু পুরনো বাড়ি ভেঙে সেখানে তৈরি হয়েছে বহুতলা ভবন।
এভাবেই অনেক বাড়ি ভেঙে ফেলা হলো, আবার কিছু বাড়ি নতুন করে তৈরি করে তাতে অনেক বেশি মানুষ বসবাসের ব্যবস্থা করা হলো। হারিয়ে গেল চিরচেনা ঢাকার চিত্র।