আইজিডাব্লিউ অপারেটরের লাইসেন্স নবায়ন ফি ৭০% কমছে
র্টেলিযোগাযোগখাতের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাব্লিউ) অপারেটরগুলোর বার্ষিক লাইসেন্স নবায়ন ফি ৭০ শতাংশেরও বেশি কমিয়ে ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যদিও আন্তর্জাতিক কল থেকে আয় কমে যাওয়ায় এ ফি আরও কমানোর দাবি করেছিল অপারেটরগুলো।
এতোদিন আইজিডাব্লিউ অপারেটরদের প্রতিবছর লাইসেন্স নবায়ন ফি বাবদ ৩.৭৫ কোটি টাকা দিতে হতো। পুনঃনির্ধারিত এই লাইসেন্স ফি ২০২০ সাল থেকে কার্যকর করতে চায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)।
বিভিন্ন ওটিটি (ওভার দ্য টপ) অ্যাপসের কারণে আন্তর্জাতিক ভয়েস কল থেকে আয় কমে যাওয়ায় আইজিডাব্লিউও অপারেটর ফোরাম লাইসেন্স নবায়ন ফি কমিয়ে ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে তা ২০২০ পঞ্জিকা বছর থেকে কার্যকর করতে গত নভেম্বর মাসে বিটিআরসি এর কাছে আবেদন করেছিল। বিটিআরসির ওই আবেদনটি গত ২২ নভেম্বর অর্থবিভাগে পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
লাইসেন্স নবায়ন ফি কমিয়ে ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করে দিলেও তা কোন সময় থেকে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেনি অর্থবিভাগ। নতুন লাইসেন্স নবায়ন ফি গত বছর থেকে কার্যকর করতে অর্থবিভাগের মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, যার কপি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের হাতে রয়েছে।
গত ৮ মে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব মাসুমা নাছরিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদারের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাতে আইজিডাব্লিউটি অপারেটর ফোরামের দাবি অনুযায়ী হ্রাসকৃত লাইসেন্স নবায়ন ফি ২০২০ থেকে কার্যকর করার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
বাংলাদেশে ২৪টি আইজিডাব্লিউ অপারেটর রয়েছে। বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী আইজিডাব্লিউসহ ইন্টারনেট গেটওয়ে ও ইন্টারন্যাশনাল কল টার্মিনেশন সেক্টরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ নিষিদ্ধ রয়েছে, যা সংশোধণ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি।