হোটেল সী প্রিন্সেস আজ থেকে আইসোলেশন সেন্টার
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের খোলা হাওয়ায় আইসোলেশনে রাখতে কক্সবাজার সৈকত তীরের ২০০ শয্যার হোটেল সী প্রিন্সেসকে তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে কোভিড আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে হোটেলটিতে রোগী রাখার যাত্রা শুরু হবে। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর শুভ উদ্বোধন করবেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুসারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১,৮৮৯ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগে জেলার ২৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৫শ' জন।
প্রতিদিনই জ্যামিতিক হারে জেলায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ক্রমবর্ধমান রোগীর এই চাপ সামলাতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন যৌথভাবে সাগর পাড়ের তারকামানের হোটেল সী প্রিন্সেসকে ২০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করেছেন।
হোটেল সি-প্রিন্সেস'র সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (এজিএম) একরামুল বশর চৌধুরী সুমন বলেন, "দেশে চলমান করোনা দুর্যোগে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে হোটেলটি ব্যবহার করছে জেলা প্রশাসন । এটি আমাদের জন্য গর্বের।
তিনি আরও বলেন, করোনা আক্রান্তদের এখানে আইসোলেশনে রাখার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। শুক্রবার থেকে এর যাত্রা শুরু হবে। তবে, আমাদের কামনা- হোটেলের আনুষাঙ্গিক ব্যয়গুলো প্রশাসন বহন করবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার বলেন সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে নতুন এই আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের অফিস সমন্বিতভাবে এই আইসোলেশন সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
তিনি জানান, নতুন এ আইসোলেশন সেন্টারের জন্য ব্র্যাক থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স, নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৫টি অক্সিমিটার বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ (শুক্রবার) অন্য একটি এনজিও আরেকটি এ্যাম্বুল্যান্স হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। এ্যাম্বুলেন্স দুটি সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন অফিস এবং কক্সবাজারে কর্মরত এনজিওদের সহযোগিতায় এ সেন্টারটি সচল রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, তুলনামূলক যে সকল রোগীর উপসর্গ নেই, যারা মোটামুটি সুস্থ তাদের এই আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হবে। আর যে সকল করোনা রোগী নিজের বাসায় থাকতে চান না বা বাসায় আলাদা থাকার ব্যবস্থা নেই তাদেরকেও এখানে রাখা হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, করোনা চিকিৎসার অন্যতম উপদান হল নির্মল বাতাস। ফুসফুসে আঘাতহানা ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে আইসোলেশন রুমটি জানালার পাশে রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।