ইতালিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন কোয়ারেন্টিন বিধি
ইতালির 'ই-লিস্টে' স্থান পাওয়া বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের এখন ইউরোপের দেশটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হবে।
বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং আরও কয়েকটি দেশ এই ই-লিস্টের অন্তর্ভুক্ত।
গত ৩০ আগস্ট ইতালির পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ মর্মে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। সেখানে বলা হয়, এসব দেশের মানুষেরা ইতালিতে শুধুমাত্র চিকিৎসা, পড়াশোনা বা কাজের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে পারবে।
এছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারীদের পাশাপাশি যারা তাদের নিজ দেশে বা বাসস্থানে ফিরছেন তাদেরও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে শেনজেন ভিসা ইনফো ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইতালির পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "যারা ট্রানজিটের জন্য অথবা গত ১৪ দিনের মধ্যে দেশটিতে অবস্থান করেছেন তাদের কেবলমাত্র কাজ, অধ্যয়ন, স্বাস্থ্য বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কারণে ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে"।
অধ্যাদেশে উল্লেখিত ই-লিস্টভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের আরও যেসব করোনাবিধি মেনে চলতে হবে তা হলো-
- ডিজিটাল প্যাসেঞ্জার লোকেটর ফর্ম (পিএলএফ) পূরণ করা
- ইতালিতে প্রবেশের পূর্ববর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে করা নেগেটিভ পিসিআর বা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ফলাফল প্রদর্শন করা
- চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দশ দিনের জন্য সেলফ-আইসোলেশনে থাকা
দশ দিন সেলফ-আইসোলেশনে থাকার পর প্রত্যেককে দ্বিতীয়বার করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করাতে হবে।
এ সময় যাদের মধ্যে ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাবে, তাদের অবিলম্বে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে তাদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে, সেলফ-আইসোলেটেড থাকতে হবে এবং দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ই-লিস্টভুক্তদেশগুলোর জন্য কঠোর নিয়ম আরোপ করার পাশাপাশি মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ১লা সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে প্রবেশকারী সকল ব্যক্তিকে 'গ্রিন পাস' বা এর সমতুল্য একটি সার্টিফিকেট বহন করতে হবে। এর জেরেই তাকে বিমান, জাহাজ, ফেরি, দূরপাল্লার ট্রেন ও বাসে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে।
এর আগে যারা রেস্তোরাঁ, বার, ক্যাফে, থিয়েটার, জাদুঘর এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেসে প্রবেশে ইচ্ছুক ছিলেন, তাদেরই বাধ্যতামূলকভাবে এই গ্রিন পাস বহন করতে হতো।