১১ অক্টোবরের মধ্যে ইভ্যালির সব নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট
বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ অক্টোবর জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে সব নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া, ইভ্যালির সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রিয় ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ইভ্যালিকে অবসায়ন করার জন্য কেন অবসায়ক নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি: পঞ্জি স্কিমের অগ্রদূতের উত্থান ও পতন
ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আদেশের পর ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ইভ্যালি অনলাইন শপ থেকে দশ মাস আগে একটি ওয়াশিং মেশিন অর্ডার করেন এবং অর্থ পরিশোধ করেন গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এরপর কোম্পানিটি অনলাইনে তাকে পণ্যটি কেনার একটি রশিদও দেয়। কিন্তু এতদিনেও পণ্য বুঝিয়ে না দেওয়ায় যোগাযোগ করা হলে তাকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পণ্যটি না পেয়ে এবং টাকা ফেরত না পেয়ে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
অবসায়ন করার পর ইভ্যালির মালিকানায় থাকা সম্পত্তি বিক্রয় করে টাকা ফেরত চেয়েছেন গ্রাহক ফরহাদ হোসেন।
ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন বলেন, 'সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি অথবা ট্রান্সফার না করতে নির্দেশ দেন এবং নোটিশ ইস্যু করেন যে, কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করার জন্য অবসায়ক নিয়োগ দেওয়া হবে না। আর এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে এই সময়ের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।'