উদ্বোধনের অপেক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ সেতু
উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় চেঙ্গী নদীর উপর অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ সেতু নানিয়াচর সেতু।
সেতু নির্মাণ শেষ হলেও উপজেলার সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজ এখনো শুরু হয়নি। সেতুটি চালু হলে বদলে যাবে জেলার ৪ উপজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতু পার হয়ে নানিয়াচর বাজারে যাচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। এক সময় চেঙ্গী নদীটি নৌকায় পার হতে সময় লাগত ৩০/৪৫ মিনিট।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫শ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধান করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের ২৪ ইসিবি বেঙ্গল।
সেতুটি চালু হলে রাঙামাটির শহরের সাথে লংগদু, নানিয়াচর, দিঘিনালা, বাঘাইছড়ি, সাজেকের সরাসরি সড়ক সংযোগ স্থাপন হবে। এ সেতুটির কাজ শেষ হওয়ায় ইতিমধ্যে সড়ক যোগাযোগ সুবিধা ভোগ করা শুরু করছে নানিয়াচরের মানুষ। এজন্য বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তারা।
স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী রিপন দাস বলেন, চেঙ্গী নদীতে সেতু না থাকার কারণে যুগ যুগ ধরে সবক্ষেত্রে বঞ্চিত ছিল নানিয়াচর উপজেলার মানুষ। শুধু চেঙ্গী নদীটি নৌকা দিয়ে পার হতে সময় লাগত ৩০/৪০ মিনিট। নেওয়া যেত না যানবাহন। সেতু নির্মাণ হওয়ায় এখন এক মিনিটে পারাপার সম্ভব হচ্ছে। মানুষে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের আয় বেড়েছে।
সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলেও বাকি আছে নানিয়াচর লংগদু সড়কের সংস্কার ও নির্মাণ কাজ। এ কাজটি শেষ হলে সেতু নির্মাণের সুফল পাবে উপজেলাগুলোর ৫ লক্ষাধিক মানুষ।
নানিয়াচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় ইতিমধ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইতে শুরু করেছে। এর সুফলতা পুরোপুরি পেতে হলে লংগদু উপজেলা সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে। এজন্য সরকারের আরো সহযোগিতা চাইলেন প্রগতি চাকমা।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ বলেন, সেতুটি হওয়ায় এলাকাটির সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হল। সেতুটির নামকরণের ব্যাপারে স্থানীয় মানুষের দাবি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।