একদিনে সর্বোচ্চ ৪৫ জনের মৃত্যু, রেকর্ড আক্রান্ত ৩,১৭১ জন
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ৪৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৯৭৫ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩ হাজার ১৭১ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭১ হাজার ৬৭৫ জনে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
মৃতদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ২৮ জন, চট্টগ্রামে ১১, সিলেটে ২, রাজশাহীতে ২, ও রংপুর বিভাগে ২ জন মারা গেছেন।
মৃত ৪৫ জনের বয়স:
১১ থেকে ২০ বছর বয়সী: ২ জন।
২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী: ২ জন।
৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী: ৫ জন।
৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী: ৩ জন।
৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী: ১৫ জন।
৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী: ১০ জন।
৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী: ৮ জন।
শতকরা হার বিবেচনায় এখন পর্যন্ত দেশে যতজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ পুরুষ ও ২৩ শতাংশ নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৪ হাজার ৬৬৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশের ৫৫টি পরীক্ষাগারে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৭৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৩৬ জন।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।
এক নজরে বাংলাদেশের করোনাচিত্র:
মোট আক্রান্ত: ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
মারা গেছেন: ৯৭৫ জন।
মোট সুস্থ: ১৫ হাজার ৩৩৬ জন।
মোট নমুনা পরীক্ষা: ৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫টি
আজ ব্রিফিং এ অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু অনেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে মজুদ করছেন। অক্সিজেন থেরাপি একটি জটিল প্রক্রিয়া। কি পরিমাণে কতটুকু অক্সিজেন নিতে হবে তা একজন চিকিৎসক ঠিক করে দেন এবং একজন টেকনোলজিস্ট সঠিক নিয়ম মেনে এই থেরাপি দিতে পারেন। বাড়িতে অদক্ষ উপায়ে থেরাপি নিলে আপনার ক্ষতি হতে পারে।
এছাড়াও মজুদ করে রাখলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হতে পারে অক্সিজেনের। তাই ব্যক্তিগতভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে মজুদ করার ব্যাপারে নিষেধ করেন ডা. নাসিমা সুলতানা।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য সরকার ইতোমধ্যেই একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু করেছে।
এদিকে, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ৭১ লাখ ২১ হাজার ৭০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রাণ গেছে ৪ লাখ ৬ হাজার ৬১৬ জনের।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যেসব দেশে:
- যুক্তরাষ্ট্র: ১ লাখ ১১ হাজার ৭ জন।
- যুক্তরাজ্য: ৪০ হাজার ৬৮০ জন।
- ব্রাজিল: ৩৭ হাজার ১৩৪ জন।
- ইতালি: ৩৩ হাজার ৯৬৪ জন।
- ফ্রান্স: ২৯ হাজার ২১২ জন।
- স্পেন: ২৭ হাজার ১৩৬ জন।
- মেক্সিকো: ১৪ হাজার ৫৩ জন।
- বেলজিয়াম: ৯ হাজার ৬০৬ জন।
- জার্মানি: ৮ হাজার ৭২৭ জন।
- ইরান: ৮ হাজার ৩৫১ জন।