এক দশকে সেচে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বেড়েছে ৭%: বিএডিসি
সেচ দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে দেশে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বেড়েছে। ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) এক উপস্থাপনায় তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ বিএডিসি অডিটোরিয়ামে 'ক্ষুদ্র সেচের টেকসই উন্নয়নে অনলাইনভিত্তিক জরিপ ও পরিবীক্ষণ' শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরে বিএডিসি।
বিএডিসির তথ্যে জানা যায়, ২০২১ সালে সেচ এলাকা ৫৬.২৭ লাখ হেক্টর। এই সময়ে এসে সেচ দক্ষতা ৩৫ শতাংশ থেকে ৩৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বেড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিএডিসি বলছে, সেচযোগ্য জমির ৭৩ শতাংশ এখন সেচের আওতায় এসেছে। ১৯৮০ সালে সারাদেশে ভূগর্ভস্থ পানির সেচ ২০ শতাংশ এবং ভূ-উপরিস্থ পানির সেচ ৮০ শতাংশ ছিল। এই অবস্থা থেকে ২০১০ সালে ভূগর্ভস্থ পানির সেচ দাঁড়ায় ৮০ শতাংশ এবং ভূ-উপরিস্থ পানির সেচ ২০ শতাংশে পরিণত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে সেচ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন ও পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গত ১২ বছরে সেচ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে নানান পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি, পানির অপচয় রোধে ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইন নির্মাণ, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধিসহ সেচব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সেচ গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সেচ কাজসহ বিভিন্নভাবে পানির অপচয় হয়। এটি আরো কমিয়ে আনতে হবে। সেজন্য সরকার সেচ কাজে আধুনিক প্রযুক্তির রাবার/হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম ও বিভিন্ন প্রকার সেচ অবকাঠামো নির্মাণ করছে।