এমসি কলেজে ধর্ষণ: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ, অধ্যক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভ
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে কলেজ অধ্যক্ষ এবং হোস্টেল সুপারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না, জানতে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের আইনজীবী হাফিজ মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিনের করা এক রিটের শুনানিতে এ নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
সিলেটের নারী ও শিশু আদালতের বিচারকসহ ৩ জনকে যৌথ তদন্তের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে, তদন্ত কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তার স্বামীকে দুজন আটকে রাখেন।
এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।