ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও তিনজনকে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারের টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে এবার মামা-ভাগিনাসহ তিনজনকে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কক্সবাজারের জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম হেলাল উদ্দীনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন টেকনাফের রঙ্গিখালীর বাসিন্দা সুলতানা রাবিয়া মুন্নী।
সোমবার দুপুরে করা মামলায় অভিযুক্ত ৪১ জনের মধ্যে ৩৫ জনই পুলিশ সদস্য।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী কাশেম আলী জানিয়েছেন, আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে এ ঘটনায় অন্য কোনো মামলা হয়েছে কি না, তদন্ত রিপোর্ট হয়েছে কি না- তা জানাতে টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, গত ৬ মে রাত ২টার দিকে তার স্বামী সৈয়দ আলম, ভাই নুরুল আলম ও নিকটাত্মীয় (ভাগিনা) সৈয়দ হোছন ওরফে আব্দুল মোনাফকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ওসি প্রদীপ ও এসআই মশিউর তাদের পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা না পেয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
এদিকে, ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ।
এ ঘটনায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকেও যুক্ত করা হয়েছে। তারা সকলে কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এপিবিএন সদস্যদের পর রোববার ও সোমবার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত লিয়াকত ও তৃতীয় অভিযুক্ত এসআই নন্দ দুলাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রথমে সাতদিনের রিমান্ড আদেশ, পরে আরও চারদিন এবং এরপর আরও তিনদিন রিমান্ড শেষে সোমবার আরও একদিনের রিমান্ড আদেশ দেওয়া হয়েছে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে। এক সময়ের প্রতাপশালী ওসি প্রদীপ কারান্তরীণ দেখে বিভিন্ন থানায় নানাভাবে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীরা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে উদ্যোগী হচ্ছেন।
এর আগে আরও চারটি হত্যার অভিযোগ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।