কচুরিপানা খাওয়া যায় কিনা পরীক্ষা হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
‘কচুরিপানা’ নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের বক্তব্যের পর সারাদেশে আলোচনা সমালোচনা তৈরি হলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ‘কোনও একদিন কচুরিপানা থেকেও খাবার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা’র কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এর চারদিন পর নিজের সংসদীয় এলাকায় গিয়ে ফের নিজের বক্তব্যের বিষয়ে আগের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, কচুরিপানা খাওয়া যায় কিনা তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
শনিবার বিকেলে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “কচুরিপানা খাওয়ার ব্যাপারে আমি সংসদে কথা বলেছি। এটি খাওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। যদি বোঝা যায় এর ফুড ভ্যালু আছে, তাহলে আমরা দেখবো।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন কত কিছুই খাই। একসময় কচুর লতি খেতাম না, এখনতো খাই। একইভাবে মাশরুমকে আমরা বলতাম ব্যাঙের ছাতা, এখন এটি ভালো খাবার।”
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারব না?”
তার এ বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও হাসাহাসি হলে পরের দিনই এর ব্যাখ্যায় তিনি জানান, দেশের মানুষকে কচুরিপানা খেতে বলেননি তিনি। যে কিছু নিয়েই গবেষণা হতে পারে, তাই কচুরিপানাকে খাওয়ার উপযোগী করা যায় কিনা তা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছেন তিনি।
একই দিন পরিকল্পনামন্ত্রীর বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “আজ থেকে ৪০/৫০ বছর আগে ঢাকায় কেউ কচুর লতি খেতো না। কিন্তু এখন কচুর লতি খুব সুস্বাদু খাবার। এটি তরকারি হিসেবে খাওয়া হচ্ছে। আমরা চা খাই, চা পাতা দিয়ে। নতুন কনসেপ্ট এসেছে পাটের পাতা থেকে চা পাতা। দিন তো বদলাচ্ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন চিন্তা আসছে। আগে মাশরুম দেখলে বলা হতো হারাম খাবার, ব্যাঙের ছাতা। হয়তো এমন দিন আসবে কচুরিপানা থেকেও খাবার বের হবে। ওয়েট ফর দ্যাট।”
শনিবার নিজের বাড়িতে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে বাণিজ্যের ওপর এর প্রভাব নিয়েও কথা বলেন টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, “এটা সাময়িক সমস্যা। দেশে যারা আছেন তাদের কোনো সমস্যা নেই। চীন থেকে যারা আসছে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ঢোকানো হচ্ছে বাংলাদেশে। এ নিয়ে এখনই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সবাই লক্ষ রাখছে কি হয়।”
পেঁয়াজের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই ভোগ্যপণ্যটির দামের অস্থিতিশীলতার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের নিজেদের পেঁয়াজ বাজারে উঠা মাত্রই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। আগামী মাসের প্রথম দিকে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে। রমজান মাস উপলক্ষে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে এই মাসে পেঁয়াজের দামের প্রভাব না পড়ে। সে অনুযায়ী টিসিবি ব্যবস্থা নিয়েছে।”