কবতুরের দোকান থেকে উদ্ধার ময়না-বালিহাঁস
কবুতর বিক্রির দোকাটির নাম বিসিমিল্লাহ পিজিয়ন সেন্টার। অথচ সেখানে বিক্রি হচ্ছে ময়না, বালিহাঁস। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ভার্তখলায় গিয়ে এমনটিই দেখতে পান পরিবেশ কর্মীরা। পরিবেশ আইন অনুযায়ী, বালিহাঁস ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ। ময়না বা এ জাতীয় পাখি বিক্রির জন্য আলাদা অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভার্তখলার বিসমিল্লাহ পিজিয়ন সেন্টারসহ নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ টি বালিহাঁস ও ১৪ টি বক পাখি উদ্ধার করেন পরিবেশ কর্মীরা। এসময় বন বিভাগের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "সকালে সিলেটের মিরাবাজার এলাকার এক বিক্রেতার কাছ থেকে আমরা ৪ টি বক উদ্ধার করি। দুপুরে এগুলো দক্ষিণ সুরমার খোজার খলা জলাশয়ে অবমুক্ত করি। এসময় শুনতে পাই ভার্তখলায় একটি দোকানে পাখি বিক্রি হচ্ছে। বন বিভাগের কর্মীদের নিয়ে সেখানে গিয়ে বালিহাঁস ও ময়না পাখি বিক্রির সত্যতা পাই।"
তিনি বলেন, "এরপর নগরের কুমারপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রেতা সেজে ১৪ টি বক উদ্ধার করি। এ সময় জিতু মিয়া নামের এক পাখি বিক্রেতাকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর ভার্তখলার ব্যবসায়ী শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ার তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।"
ভার্তখলা এলাকার বিসমিল্লাহ পিজিয়ন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আমিনুল হক জুয়েল বলেন, "আমি না বুঝেই বালিহাঁস ও ময়না বিক্রির জন্য দোকানে রেখেছিলাম। এটা আমার ভুল হয়েছে। এসব বিক্রি যে নিষিদ্ধ তা আমি জানতাম না।"
বন বিভাগের সিলেট শহর রেঞ্জের রেঞ্জার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, "বন্যপ্রাণি ও পাখি বিক্রি আইনত দণ্ডনীয়। এসব বিক্রি বন্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।"
তিনি বলেন, "ভার্তখলার ব্যবসায়ী শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার কাছে থাকা পাখিগুলো আমরা জব্দ করে এনেছি।"
র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা এএসপি ওবাইন বলেন, "কুমারপাড়া থেকে বক বিক্রিকালে এক বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।"