করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বহনে বাসদের ‘বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স’
বরিশালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও এ রোগের লক্ষণ থাকা রোগী বহনে ১০টি ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্স হিসাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
সম্পূর্ণ বিনা খরচে রোগী বহন করা হবে এ বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে। ইজিবাইকগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও লক্ষণ থাকা রোগী বহনে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগী বহনের সময় চালক ও আশেপাশের কেউ যাতে সংক্রমিত না হয় সেভাবে ইজিবাইকগুলোকে সংস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি রোগী বহনে বাসদের ১০জন কর্মী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর সদররোড অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বাসদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করে। পরে অ্যাম্বুলেন্স হিসাবে ব্যবহৃত ১০টি ইজিবাইক সাইরেন বাজিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী জানান, বরিশালে এখন পর্যন্ত একজনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। তারপরও করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে যে কেউ আক্রন্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আক্রান্ত ও লক্ষণ থাকা রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সগুলো বহন করতে চাচ্ছে না। ফলে তাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। রোগী শনাক্ত হলে জনগণের দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এসব বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত ১০টি ইজিবাইক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী বহন উপযোগী করে সংস্কার করা হয়েছে। বরিশাল নগরীর মধ্যে বিনা খরচে রোগী বহন করবে এ অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
জেলা বাসদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন বলেন, প্রতিটি ইজিবাইকে একজন চালক ও রোগীর পাশে থাকবেন একজন স্বেচ্ছাসেবী। চালক ও স্বেচ্ছাসেবী নিজেদের নিরাপত্তায় পিপিই পরিহিত থাকবেন। স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করা এ ১০ জনকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এইচ এন সরকার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কিভাবে রোগী পরিবহন করতে হবে।
রোগীবহনকারী ইজিবাইক অ্যাম্বুলেন্স চালক খলিলুর রহমান বলেন, একজন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর পুরো পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। তাদের থেকে সবাই দূরে থাকে। প্রয়োজনীয় সহায়তা তারা পাননা। সংগঠনের আহ্বানে দুঃসময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্যই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দিয়েছি।