করোনায় আরও ২২ জনের মৃত্যু, মোট আক্রান্ত ৪৯,৫৩৪
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এ নিয়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৭২ জনে দাঁড়াল।
বিভাগ অনুযায়ী মৃত্যুবরণের পরিমাণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়:
ঢাকায় ১১ জন, চট্টগ্রামে ৮ জন, সিলেটে ২ জন ও বরিশালে ১ জন মারা গেছেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২ হাজার ৩৮১ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯ হাজার ৫৩৪ জনে। গত শুক্রবার পর্যন্ত এ হিসাবে পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪৩৯টি পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ মোট ৫২টি ল্যাবে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়।
মৃত ৪০ জনের বয়স:
- ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী: ১ জন।
- ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী: ৮ জন।
- ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী: ৪ জন।
- ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী: ৭ জন।
- ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়স: ২ জন।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১০ হাজার ৫৯৭ জন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে সেরে উঠলেন।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার ২০ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং মৃতের হার মোট আক্রান্তের ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ভাইরাসটি থেকে সেরে ওঠার মাত্রা ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।
এক নজরে বাংলাদেশের করোনাচিত্র:
- মোট আক্রান্ত: ৪৯ হাজার ৫৩৪ জন।
- মারা গেছেন: ৬৭২ জন।
- মোট সুস্থ: ১০ হাজার ৫৯৭ জন।
- মোট নমুনা পরীক্ষা: ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৩৬৯টি।
ব্রিফিং এ অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর 'সিডিসি-কেয়ার ফর অল' সেবা চালু করেছে। এই সেবার অধীনে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য সরকার ইতোমধ্যেই একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু করেছে।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা পৃথিবীতে ৬২ লাখ ৬৮ হাজার ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেও প্রাণ গেছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭২ জনের।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যেসব দেশে:
- যুক্তরাষ্ট্র: ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন।
- যুক্তরাজ্য: ৩৮ হাজার ৪৮৯ জন।
- ইতালি: ৩৩ হাজার ৪১৫ জন।
- ব্রাজিল: ২৯ হাজার ৩৪১ জন।
- ফ্রান্স: ২৮ হাজার ৮০২ জন।
- স্পেন: ২৭ হাজার ১২৭ জন।
- মেক্সিকো: ৯ হাজার ৯৩০ জন।
- বেলজিয়াম: ৯ হাজার ৪৬৭ জন।
- জার্মানি: ৮ হাজার ৬০৫ জন।
- ইরান: ৭ হাজার ৭৯৭ জন।