করোনা ঠেকাতে সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ঢাকাসহ সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যেসব এলাকায় অধিক সংক্রমণ হয়েছে, সেসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে ওইসব এলাকার লোকদের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। বাইরে থেকেও রেড জোনে লোকদের প্রবেশ সীমিত করার উদ্যোগ নেবে সরকার।
আর যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ কম ঘটেছে, সেসব এলাকাকে ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করে আক্রান্তদের ঘর-বাড়ি লকডাউন করে সংক্রমণ বিস্তার ঠেকানো হবে। যেসব এলাকায় এখনও করোনার রোগী পাওয়া যায়নি, সেসব এলাকায় যাতে বাইরের কেউ ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও মন্ত্রণালয় গঠিত মিডিয়া সেলের ফোকাল পয়েন্ট মো. হাবিবুর রহমান খান।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
হাবিবুর রহমান খান বলেন, খুব দ্রুতই সারাদেশকে তিন জোনে বিভক্ত করা হবে। দেশের ৮০ ভাগ এলাকায় এখনও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেনি। ঢাকার অনেক এলাকাতেও করোনার সংক্রমণ হয়নি। সেসব এলাকাকে করোনামুক্ত রাখতে বাইরের লোকদের প্রবেশ সীমিত করা হবে।
'রেড জোন এলাকাগুলোর সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে, যাতে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ওইসব এলাকার কেউ বাইরে বের হতে বা বাইরে থেকে কেউ যেতে না পারে। এভাবেই রেড ও ইয়েলো জোনগুলোকে পর্যায়ক্রমে গ্রিন জোনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।' জানান তিনি।
মিডিয়া সেলের ফোকাল পয়েন্ট আরও বলেন, করোনা টেস্টের ফলাফল বিশ্লেষণ করে জোনিং করা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সারাদেশকে জোনিং করে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।