কোনো রকম খারাপ লাগছে না: ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অধ্যাপক নাসিমা
দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে ভ্যাকসিন গ্রহণের ৩০ মিনিট পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, এর ফলে শরীরে কোনো ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তিনি অনুভব করেননি।
টিকা গ্রহণের পর নিজের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, "মার্চে যেখন দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় তারও আগে থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে চেয়েছি জনগণকে তথ্য পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে। ভ্যাকসিন আসার আগে মানুষের আশা ছিলো ভ্যাকসিন সুরক্ষা দিবে কিন্তু এখন নিজে ভ্যাকসিন না নিলে মানুষকে বলতে পারবোনা ভ্যাকসিন নিতে। তাই নিলাম।"
তিনি বলেন, "সামান্য একটা বিষয়। ছোট্ট নিডল। কোন ব্যথা হয়নি। এখন যে নিডল তা অনেক আধুনিক। আমি আসলে কোন ব্যথা পাইনি। ভ্যাকসিন দিলে একটু লাল হয়, জ্বর হয় বাচ্চাদের, মানে ভ্যাকসিন কাজ করছে। বমি ভাব, জ্বর জ্বর হতে পারে। ভ্যাকসিন নিলে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে এটি সঠিক না। যার যখন সুযোগ আসবে আমরা যেনো সেটা কাজে লাগিয়ে ভ্যাকসিন নেই। কোন রকমের খারাপ লাগছেনা তাই ৩০ মিনিটের আগে বের হয়েছি। এটি মানসিক বিষয়, মানসিকভাবে যেনো ভালো থাকে।"
ভ্যাকসিন গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, "ভ্যাকসিন নিযেছি ১৫ মিনিট হলো কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। ভ্যাকসিন আশির্বাদ হয়ে এসেছে। ভ্যাকসিনের কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমি নিযেছি, আপনারাও নেন।"
এর আগে বুধবার বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে থেকে সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথম দিনের এ কর্মসূচিতে ৩০ জন সম্মুখযোদ্ধাকে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমাবারের মতো করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে টিকা নিয়েছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. দিদারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।