কোম্পানীগঞ্জের আ. লীগ নেতা বাদলের জামিন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট ও বসুরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ শুনানী শেষে এ জামিনের আদেশ প্রদান করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশিদ হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকালে তিন মামলায় মিজানুর রহমান বাদলের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। পরে শুনানী শেষে মামলা তিনটিতে বাদলকে জামিন দেন আদালত। তবে এসময় বাদল আদলতে উপস্থিত ছিলেন না। পরে তার জামিন নামা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজার ও বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও সিএনজিচালক আলা উদ্দিন নিহত হন। পুলিশসহ আহত হন প্রায় অন্তত শতাধিক। পরে এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় গত ১১মার্চ নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের দায়ের করা আরও দুটি মামলায় শ্যোন গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে তিনি জেলা কারাগারে ছিলেন।
এদিকে, বিকেল তিনটার দিকে নিজের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে হুশিয়ারি করে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা লিখেছেন, 'সাংবাদিক মুজাক্কিরকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান বাদল, তাকে শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানোর জোর দাবী জানাচ্ছি, অন্যথায় কোম্পানীগঞ্জে আগুন জ্বলবে।"