ক্ষতিপূরণ নয় শাস্তি চাই
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন নিহনতের স্বজনরা। নারায়ণগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে মৃতদের ২৪ লাশ বুধবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার (৪ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়ের লাশ গ্রহণে করতে আসেন শাহিনুর। তিনি বলেন, "আমার মেয়েকে যারা মেরেছে তাদের বিচার চাই। ক্ষতিপূরণ দিয়ে আমার মেয়েকে ফিরে পাবো না। আমার মেয়েকে এনে দিক। আমরা মালিকের শাস্তি চাই।"
এসময় মেয়ের লাশ বহনকারি অ্যাম্বুলেন্সে উঠে কান্নায় ভেঙে পরেন তিনি। বলতে থাকেন, "আল্লাহ তুমি বিচার করো। আমার মেয়েকে যারা মেরেছে তাদের তুমি ক্ষমা কারো না। তালা বন্ধ করে মেয়েকে পুড়িয়ে ফেলেছে ওরা।"
তানিয়ার বয়স ১৮ বছর । তিনি হাসেম ফুড লিমিটেডের ৪র্থ তলায় কাজ করতেন।
বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে নিহতদের স্বজনদের কাছে ৪৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়। আজ মর্গ থেকে লাশ গ্রহণের জন্য নিহতের পরিবারের স্বজনরা ভোর থেকে অপেক্ষা করেন। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা।
ভোর ৫ টা থেকে মেয়ের লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন নয়ন মিয়া। নয়ন মিয়া বলেন, "মেয়েকে তো ফিরে পাবো না। আমরা এর বিচার চাই। আমার মতো যেন আর কোন বাবার বুক খালি না হয়।"
নয়ন মিয়ার মেয়ে নাজমা বেগম (২৫) পাঁচ বছর ধরে কাজ করতেন এ কারখানায়। নাজমা বেগমের চার বছরের এক ছেলে আছে।
আফজাল হোসেন স্ত্রীর লাশ নিতে এসেছেন বলেন, "সংসারের অভাব ঘোচাতে বউকে চাকরি করতে দিয়েছি। সেই বউ লাশ হয়ে ফিসে এসেছে, আমারতো সব শেষ হয়ে গেল।"
আফজাল হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) ৪র্থ তলায় কাজ করতেন।
আফজাল বলেন, "যে স্বজন হারায় তিনিই বোঝে স্বজন হারানো বেদনা। আমরা মালিকের শাস্তি চাই। কেনো তালা বদ্ধ করে পোড়ানো হলো শ্রমিককে তার শাস্তি চাই।"