চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহী ইতিহাদ, এমিরেটস ও কাতার এয়ারওয়েজ
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রতিনিয়ত অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী বাড়ছে। ফলে এই বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে ইতিহাদ, এমিরেটস এবং কাতার এয়ারওয়েজ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান উন্নীত করতে গণশুনানি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বর্তমানে দুটি বোর্ডিং ব্রিজ রয়েছে। চলতি বছরে আরো দুটি বোর্ডিং ব্রিজ নির্মাণ, ইলেকট্রনিক গেইট, ডিজিটাল স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করা হবে। এই বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে কাজ করছে সরকার। বিমানবন্দরের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে। মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধীদের বিশেষ সেবা দেবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
মো. মফিদুর রহমান আরও বলেন, সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিজস্ব ডাক্তার নেই। নতুন অর্গানোগ্রামে চিকিৎসক পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রবাস থেকে ফেরা যাত্রীদের সুবিধার্থে সোনালী ব্যাংকের একটি বুথ দেওয়া হবে।
স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সরওয়ার- ই জামান বলেন, বিমানবন্দরে প্রতিদিন গড়ে ৪০টি প্লেন ওঠানামা করছে । ২০১৯ সালে শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করেছেন। ১ দশমিক ৮ গুণ ফ্লাইট বেড়েছে। নিরাপদে ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ এবং যাত্রীসেবার মান বাড়াতে আমরা কাজ করছি।
গণশুনানিতে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রব্বানি রিগ্যান, বিমানবন্দরের চিকিৎসক এম জেড শরীফ, বিমান যাত্রী কামাল উদ্দিন সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বিমানবন্দরের রানওয়েতে শাটল বাস, মানি এক্সচেঞ্জ বুথ, ব্যাংকের বুথ, প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য আলাদা বুথ, বিমানবন্দরে চিকিৎসক সংখ্যা বৃদ্ধি, চেকইন কাউন্টারের পরিধি বৃদ্ধি সহ সেবার মান আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।