চলমান কঠোর লকডাউন আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ জাতীয় কমিটির
সারাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যেই লকডাউন শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একইসঙ্গে, ভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান কঠোর লকডাউন আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (১২ জুলাই) রাতে সাড়ে ৭টায় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে ৪১তম অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যুক্ত হওয়া সদস্যদের বিস্তারিত আলোচনা শেষে লকডাউন বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় কমিটি লকডাউনের অংশ হিসেবে কোরবানির হাট বন্ধ রাখার প্রস্তাবও করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রয়োজনে ডিজিটাল হাট পরিচালনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে সরকার লকডাউন শিথিল করে সীমিত পরিসরে কোরবানির হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলে, সেক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
হাট আয়োজনে কমিটির সুপারিশ:
- শহর এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসার অনুমতি না দেয়া
- শারীরিক দূরত্ব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে উন্মুক্ত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেয়া যেতে পারে
- বয়স্ক ব্যক্তি (৫০ বছর বা তার বেশি) এবং অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কোরবানির হাটে না যাওয়া
- হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে আলাদা পথ রাখা
- বাজারে আসা সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা
- জনসাধারণকে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে, যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করার বিষয়ে উৎসাহিত করা
- জনসাধারণের অনলাইন কোরবানির হাটের সুবিধা গ্রহণ উৎসাহিত করা
- বাড়ির আঙিনায় কুরবানি না করে, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা
এছাড়া, ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত যেভাবে আয়োজন করা হয়েছিল, এবারও তেমনভাবে ঈদুল আজহার জামাত আয়োজন করা এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গৃহীত সরকারের পদক্ষেপ সমূহকে সফল করার লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুপারিশও করা হয়।