চুয়াডাঙ্গায় নৈশকোচের ধাক্কায় নিহত ৬, আহত ৪
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী নৈশকোচের ধাক্কায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও চারজন।
আহতদের মধ্যে দুই জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। ঘাতক গাড়ি চালককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক চালক আসাদুল আলম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার আবদুল ওহাবের ছেলে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভান্ডাদুয়া গ্রামের নিতাই হালদারের ছেলে ষষ্টি হালদার (৪০), খাড়াগুদা গ্রামের মাহতাব উদ্দীনের ছেলে মিলন হোসেন (৩০), তিতুদহ গ্রামের পিয়াস আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (৩৫), একই গ্রামের লুতা মন্ডলের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৮), হায়দার আলীর ছেলে কালু মন্ডল (৪০) এবং রহিম মন্ডলের ছেলে শরিফ হোসেন (৪০)।
জানা গেছে, যাত্রীবাহী নৈশকোচ 'রয়েল এক্সপ্রেস' চট্টগ্রাম থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। শনিবার ভোর সাড়ে ৬ টার সময় চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে নৈশকোচটি প্রথমে একটি আলমসাধুকে (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অবৈধযান) ধাক্কা দেয়। এরপর পর্যায়ক্রমে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেল ও পরে আরও একটি আলমসাধুসহ সাত পথচারীকে ধাক্কা দেয়।
সরোজগঞ্জ বাজার থেকে মিতালী সিনেমা হল পর্যন্ত আধা কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় আরও তিনজনের। নিহতরা আলমসাধু (অবৈধযান), ব্যাটারিচালিত ভ্যান এবং মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম কবির বলেন, আহত দুই জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্য দুইজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ বলেন, গাড়ি চালককে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।