ছোট্ট শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ৫ জনের ফাঁসি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ৪ বছরের শিশুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২ ভাইসহ ৫ জনকে ফাঁসি দিয়েছে আদালত।
বুধবার বিকেলে দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরিফ উদ্দিন আহমেদ এই রায় ঘোষণা করেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলায় বাকি ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার কাদিমনগর এলাকার এহিয়ার ছেলে জিল্লুর রহমান ও জুয়েল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিনের ছেলে মামুন রশিদ ওরফে মামুন ও ওয়াজেদ আলীর ছেলে ফেরদৌস আলী।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর আসামিরা ৪ বছরের শিশু পর্শ সাহাকে বাড়ী পাশে দূর্গা মন্দিরের সামনে খেলাধুলা করার সময় কৌশলে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে শিশুকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করলে স্থানীয়রা অপহরণের বিষয়টি শিশুর পিতাকে অবহিত করেন। এই ঘটনায় পর্শ সাহার পিতা ৮ জনের নাম দিয়ে অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। থানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা মামলাটি ২০০০ সালের (সংশোধিত) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় মামলাটি রুজু করেন।
পরের দিন পুলিশ আসামী জিল্লুর রহমানকে আটক করলে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কবরস্থানে শিশুটির এক চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পরে নিহত শিশু পরশের বাবা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারী কৌসুলী মেহবুব হাসান চৌধুরী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. সাইফুল ইসলাম।