জানুয়ারির শুরুতেই কোভিড-১৯ টিকা পাবে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, জানুয়ারির শুরুর দিকেই কোভিড -১৯ টিকার চালান পাবে বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস অডিটরিয়ামে আয়োজিত জাতীয় হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি-২০২০ উদ্বোধনকালে তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন।
'আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই টিকার চালান পাব বলে আমরা আশা করছি। এই লক্ষ্যে বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে সরকারের চুক্তিও হয়েছে। তারা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউদের সঙ্গে করা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার তৈরি প্রতিষেধকটি আমদানি করবে। এছাড়াও, সরকার নিজস্ব উদ্যোগে তিন কোটি ডোজ সরাসরি আমদানি করবে,'' মন্ত্রী জানিয়েছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) দেশের মোট জনসংখ্যার ২০% হারে ভ্যাকসিন বরাদ্দ করবে।
'এসব টিকার চালান আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে আমরা নিশ্চিতভাবেই সেই সরবরাহ পাব। অথচ আমাদের প্রতিবেশী অনেক দেশ এখনও টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। তাছাড়া, টিকা কিনতে আমাদের কোনো অর্থ সঙ্কট নেই। বিশ্বব্যাংকও এই লক্ষ্যে আমাদের অর্থায়ন করা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে,' তিনি যোগ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, 'সঠিক টিকাদান কর্মসুচির সুফল হিসেবেই বাংলাদেশি নাগরিকদের গড় আয়ু বাড়ছে। কমেছে নবজাতক এবং প্রসূতি মায়েদের মৃত্যুহারও। দেশের প্রায় ৯০% শিশুকে ইতোমধ্যেই টিকাদানের আওতায় আনা হয়েছে।'
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মানান। তিনি বলেন, সরকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পেতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করছে।
'ইতোমধ্যেই আমরা সাড়ে ৪ কোটি মানুষের জন্য যথেষ্ট টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছি। সেগুলো আসার আগপর্যন্ত মাস্ক পরা হচ্ছে নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায়,' সচিব বলেছেন।
এদিকে টিকা কবে আসবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেনি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
এব্যাপারে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আলাপকালে বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা জানান, ইতোমধ্যেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউড দেশটির নিয়ামক সংস্থার কাছে অক্সফোর্ড টিকার জরুরি অনুমোদনের আবেদন করেছে। ভারতে স্বীকৃতি মিলতে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) কাছেও টিকাটির ব্যাপারে সবুজ সংকেত চাইবে সেরাম ইনস্টিটিউড।
'হু'র কাছে আবেদন প্রক্রিয়ার আগে কখন টিকা এদেশে আসবে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়,' রাব্বুর রেজা যোগ করেন।
এদিকে জাতীয় হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি আগামী শনিবার থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ করে টিকাদানের লক্ষ্য রয়েছে।
সাপ্তাহিক ছুটি বাদে দৈনিক সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদানের কার্যক্রম চলবে।