ডিএমপি কমিশনারকে পার্সেন্টেজের প্রস্তাব দেওয়া সেই যুগ্ম-কমিশনারকে বদলি
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামকে 'পার্সেন্টেজ গ্রহণের প্রস্তাব' দেওয়া মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. ইমাম হোসেকে বদলি করা হয়েছে।
ইমাম হোসেনকে লজিস্টিকস বিভাগ থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অধীনেই পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগে বদলি করে মঙ্গলবার আদেশ জারি করেছেন কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
গত ৩০ মে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে ইমাম হোসেনকে 'দুর্নীতিবাজ' আখ্যা দিয়ে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি পাঠিয়ে বদলির সুপারিশ করার ১০ দিনের মাথায় ইমাম হোসেনকে নিজেই বদলি করলেন শফিকুল।
২০১২ সালে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে যোগ দেন ইমাম হোসেন। এরপর কয়েক ধাপে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হিসেবে লজিস্টিকস বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি।
ইমাম হোসেন ছাড়াও আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বের পুনর্বন্টন করা হয় ডিএমপি কমিশনারের স্বাক্ষরিত এই আদেশে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (পিওএম) অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি) মোহাঃ আবদুল মালেককে প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে এবং যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রান্সপোর্ট) মঈনুল হককে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্) হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ মে আইজিপির উদ্দেশে লেখা চিঠিতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, "উপর্যুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেন একজন দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা। ডিএমপির বিভিন্ন কেনাকাটায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তদুপরি তিনি ডিএমপির কেনাকাটায় স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের কাছে পার্সেন্টেজ গ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ফলে ওই কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে কর্মরত রাখা সমীচীন নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।"