দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়।
জেলার ওপর দিয়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি কষ্টে পড়েছেন। সাধারণ মানুষ শীত থেকে রক্ষা পেতে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে কয়েকদিন ধরে। হিমেল বাতাসের কারণে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে জনজীবনে। সকাল ১১টায় বাতাস বইছে ৭ কিলোমিটার বেগে। যার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েকদিন মাঝারি তাপপ্রবাহ বইবে।
বুধবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, শীতের কারণে কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে মানুষ বের হচ্ছে কম। তারা শীত থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবাড়নের চেষ্টা করছে। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। চায়ের দোকান গুলোতে মানুষ ভিড় করছে। সড়ক গুলোতে মানুষের আনাগুনো কম। সারাদিন বইছে হিমেল বাতাস। সন্ধা থেকেে সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার রাতে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে কম্বল প্রদান করা হয়েছে। দরিদ্র মানুষগুলো কম্বল পেয়ে খুশি। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ফার্মপাড়ার রেলবস্তিতে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেও কম্বল বিতরণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের সাইফুর হক বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে শীত পড়ছে। শীতের কারণে কাজে বাইরে যেতে পারছি না। অনেক কষ্টে আছি পরিবার পরিজন নিয়ে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলকার ভিমরুল্লা পাড়ার হযরত আলী জানান, শীত থেকে রক্ষা পেতে কড়খুটো জ্বালিয়ে আগুন করছি। এখনও পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাইনি। পুরাতন কাপড়ের দোকান থেকে অল্প টাকায় শীতের কাপড় কিনেছি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া কর্মকর্তা ছামাদুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গার রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন। তাপমাত্রা আরও কমেতে পারে।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, যথেষ্ট কম্বল মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। বেশি কম্বল লাগলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালকে জানানো হবে। প্রায় ২৬ হাজার কম্বল মজুদ রয়েছে।