ধরাছোঁয়ার বাইরে স্বাস্থ্যের মাফিয়ারা
হাইলাইটস:
- কেনাকাটায় শক্তিশালী সিন্ডিকেট ।শীর্ষ কর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে চলছে স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুনীর্তি
- করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতের রন্ধে রন্ধে থাকা দুর্নীতি –অনিয়ম বেরিয়ে আসে।
- কেলেঙ্কারিতে দু'একজন ধরা পড়লেও পর্দার আড়ালেই রয়ে গেছে মূলহোতারা
- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সর্বত্র দুর্নীতির বিস্তর জাল
- মন্ত্রী এর দায় এড়াতে পারেন না: বিশেষজ্ঞদের অভিমত
আইসিইউ আছে, কিন্তু নেই অক্সিজেন। নেই রক্ত পরীক্ষা কিংবা এক্স-রে করার ব্যবস্থা। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে পেয়ে যান কোভিড চিকিৎসার অনুমতি। বলছি করোনা কেলেঙ্কারিতে আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের কথা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই আলোচিত হাসপাতালের সঙ্গে হয় কারোনা চিকিৎসার চুক্তি।
শুধু রিজেন্ট হাসপাতাল নয়, করোনাকালে সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটা, করোনা পরীক্ষা না করে সার্টিফিকেট প্রদান ও এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় একে একে সামনে আসতে শুরু স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়মের চিত্র। স্বাস্থ্য খাতের শীর্ষ কর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বছরের পর বছর ধরে এ খাতে অনিয়ম –দুর্নীতি চলছে বলে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত দুবছরে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির দুই শতাধিক অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান শেষে ৫০টি মামলা হয়েছে। বাকী অভিযোগগুলো অনুসন্ধান এগুলেও করোনার কারণে এখনও মামলা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, আমরা স্বাস্থ্য খাতের যেসব দুর্নীতি অনুসন্ধান করেছিলাম সেগুলো চলমান রয়েছে। তবে কোভিডের কারণে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহার, কেনাকাটা,ওষুধ সরবরাহসহ ১১টি খাতে দুর্নীতি বেশি হয় বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদনে উঠে আসে। দুই বছর আগে এক প্রতিবেদনে দুর্নীতির এই খাতগুলো চিহ্নিত তা প্রতিরোধে ২৫ দফা সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।
সেই সময় প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে তুলে দেন দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান।
প্রতিবেদনে, প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে জনসাধারণের দৃষ্টিগোচর হয় এমন উন্মুক্ত স্থানে সিটিজেন চার্টার প্রদর্শনের বিধান নিশ্চিত করা। পাশাপাশি হাসপাতালে কী কী ওষুধ স্টকে আছে তা প্রদর্শন করা। ওষুধ ও মেডিকেল যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতি এবং অনিয়ম বন্ধ করার জন্য ক্রয় কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা । জনবল না থাকলে যন্ত্রপাতি কেনা উচিত নয়। ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ইজিপিতে টেন্ডার আহ্বান এবং পিপিআরের বিধানের যাতে ব্যত্যয় না ঘটে, তা যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত করার কথা সুপারিশ করা হয়।
তবে ওই প্রতিবেদনের পর দুই বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও দুদকের দেয়া ২৫ সুপারিশের অধিকাংশই এখন বাস্তবায়ন করেননি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মহামারির সময়ে এই খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির পরিমাণ অনেক বেড়েছে বলে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি গত বছর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
টিআইবি বলছে, করোনাভাইরাস মহামারীকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির মহোৎসব হচ্ছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, '"যেখানে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত, সেখানে দুর্নীতি বা অনিয়মের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বা রাজনৈতিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এরকম ক্ষেত্রে খুব কমই আমরা কোন পদক্ষেপ দেখতে পাই।"
"বড় জোর বদলি হয়, যা আসলে কোন পদক্ষেপ না। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকেও খুব যে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়, তা নয়। কখনো কখনো চুনোপুঁটি ছোটখাটো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়, যাদের রাজনৈতিক যোগসাজশ নেই। কিন্তু রুই-কাতলাদের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গৃহীত হতে দেখা যায় না।"
"এই কারণে দুর্নীতির ব্যাপকতা বেড়েই চলেছে। আর এই মহামারীকে দুর্নীতির একটি মহোৎসবে পরিণত করা হয়েছে," বলছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রসঙ্গে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডা. ইকবাল আর্সলান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী প্রধান হিসেবে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির দায় এড়াতে পারেন না। দুর্নীতির সঙ্গে জড়তি দু'একজনকে ধরে শাস্তির আওতায় এনে এ খাতের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। পুরো ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে।"
ধরা পড়ে চুনোপুটিরা
করোনা কেলেঙ্কারিতে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার (জেকেজি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরী ও চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফসহ অনেককে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করে । করোনা কেলেঙ্কারির ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম পদত্যাগ করলেও জড়িত অন্যরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির টাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ী চালক মো. মালেক ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেনরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। গ্রেফতার হয়ে তারা এখন জেলে। তবে বছরের পর বছর ধরে ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়ারা।
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির কয়েকটি উদারহরণ
২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালসহ দেশের কয়েকটি হাসপাতালে এমআরআই মেশিনসহ বিভিন্ন মেশিনারিজ ক্রয়ের নামে প্রায় দুইশ' কোটি টাকা লুটপাটের করে স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত মোতাজজেরুল ইসলাম ওরফে মিঠু। এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।
এছাড়াও করোনাকালে সিএমএসডির ৯০০ কোটি টাকার কেনাকাটায় বড় অনিয়ম হয়েছে । এই অনিয়মের সঙ্গে নাম উঠে আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবিরের। তদন্ত কমিটি এ ঘটনার তার সম্পূক্তকতা পেয়ে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে এই কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হলেও দুর্নীতির মামলা হয়নি।
এদিকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) গত বছর প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সুরক্ষাসামগ্রী কিনেছিল। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে, তাদের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে চুক্তি পর্যন্ত ছিল না। কেনাকাটার পুরো প্রক্রিয়ায় পণ্যের মান নিশ্চিত করার বিষয়টি ভাবা হয়নি।
অন্তত ৫১টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করেছে। ওই কেনাকাটায় গুরুতর অনিয়ম হওয়ার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বরাবর গত ৯ ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়েছেন সিএমএসডির পরিচালক। এই কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা।
এভাবেই গত দশ বছরে স্বাস্থ্য খাতে বড় একাধিক অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা ঘটলেও দু'একজন কর্মকর্তাকে বদলি ও ওএসডি করা ছাড়া দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির নেই।
কেনাকাটায় শক্তিশালী সিন্ডিকেট
স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটায় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতি করে হাতিয়ে নিয়েছেন শতকোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, স্বাস্থ্য খাতে সবকিছুই যার ইশারায় চলে তিনি হচ্ছেন মোতাজজেরুল ইসলাম ওরফে মিঠু। বিদেশে বসেই পুরো স্বাস্থ্য খাত নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। স্বাস্থ্যের মধু খেয়ে মিঠু বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালে পানামা পেপারসে নাম ওঠা মোতাজজেরুল ওরফে মিঠু বিনিয়োগকারী কোটায় এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। নিউইয়র্কের কাছে ব্রংসভিল নামের অভিজাত একটি এলাকায় বাড়ি কিনেছেন। এই বাড়ির দাম দুই মিলিয়ন ডলারের বেশি (১৬ কোটি টাকা)। আটলান্টায় 'মোটেল সিক্স' নামে একটি বিলাসবহুল মোটেলের তিনি অংশীদার। অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসার কাজে তাঁর ঘনঘন যাতায়াত আছে। ঢাকায় লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজসহ তাঁর একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এছাড়াও গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম- দুর্নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএস আরিফুল হক শেখের নাম উঠে আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করলে মন্ত্রী তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। তবে তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির মামলা হয়নি।
সংশিষ্ট সূত্র বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দুটি গ্রুপ নিজেদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে ক্রয়-সংক্রান্ত আদেশ দেন। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে অধিদপ্তরের এই সিন্ডিকেটের সখ্যতা রয়েছে।
করোনাকালে যেভাবে সামনে আসে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি
এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটার দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এন-৯৫-এর মোড়কে করে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করে সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানোয় খুলনার পরিচালককে পাবনা মানসিক হাসপাতালে বদলি এবং মুগদার পরিচালককে ওএসডি করা হয়। সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তারা এন-৯৫ মাস্কের কোনো কার্যাদেশ জেএমআইকে দেয়নি। অথচ সিএমএসডি থেকে ওই সব প্রতিষ্ঠানে পাঠানো সামগ্রীর তালিকায় জেএমআইর এন-৯৫ মাস্কের কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর কেনাকাটাসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি সামনে আসে।
করোনা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন যারা
স্বাস্থ্য খাতে দীর্ষদিন ধরে অনিয়ম দুর্নীতি চলে আসলেও করোনা কেলেঙ্কারিতে চুনোপুটি বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও র্যাব। করোনা টেস্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরীও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরী গ্রেফতার হলেও এ ঘটনায় করা মামলায় এখনো তেমন কোন অগ্রগতি নেই। করোনা টেস্ট জালিয়াতির মামলাটির তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান তারা তদন্তের কাজ গুছিয়ে এনেছেন। তবে এখনো আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়নি।
প্রায় একই সময়ে রিজেন্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় হাসপাতালটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদের বিরুদ্ধে টেস্ট জালিয়াতির মামলায় এখনো চার্জশিট দেয়নি গোয়েন্দা পুলিশ। তবে, অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে একটি মামলায় তাকে সাত বছরের কারদণ্ড দিয়েছে বিচারিক আদালত। তিনি এখনো কারাগারেই আছেন।
- নিউজটি ইংরেজিতে পড়ুন: Graft takes root as medical mafias remain untouched