নারায়ণগঞ্জে দুর্ঘটনার দায় সরকার এড়াতে পারে না: মির্জা ফখরুল
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারাখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, "রুপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এপর্যন্ত ৫২ জনের প্রাণহানি ও অনেক মানুষের আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবার-পরিজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই, আমি তাদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।"
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য সরকার একদিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে, কলকারখানা চালু রেখেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে এসে অগ্নিকান্ডে পুড়ে নির্মমভাবে জীবন দিতে হলো খেটে খাওয়া শ্রমিক-কর্মচারীদের।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, "বর্তমান সরকারের আমলে মিল-কলকারখানা, বাসাবাড়ি, হোটেল, রেঁস্তোরা, মার্কেট, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অগ্নিকান্ড, গ্যাস বিস্ফোরণসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রাণ দিচ্ছে নিরীহ মানুষ। অথচ, এসব দূর্ঘটনা রোধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।"
"কল-কারখানাসমূহে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই। শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা নাই। দূর্ঘটনা ঘটার পর সরকার তদন্ত কমিটি করে, বিভিন্ন আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরে তা আর আলোর মুখ দেখে না। মর্মান্তিক এসব দূর্ঘটনা ও মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারে না"- যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, যদি লকডাউনে মিল কারখানা বন্ধ থাকতো, তাহলে এতো নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হতো না। একদিকে লকডাউন নিয়ে সরকারের দ্বৈত নীতি, অন্যদিকে কর্মস্থলে অনিরাপদ পরিবেশ ও উদাসীনতার জন্যই এতগুলো জীবন ঝরে পড়লো।
মির্জা ফখরুল সঠিক তদন্তপূর্বক অগ্নিকান্ডের ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, নিহত-আহতদেরকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, এধরনের দূর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপদ কর্মক্ষেত্র ও শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।