নির্বাচনী পোস্টার দিয়ে হবে স্কুলের খাতা
ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন শেষ হয়েছে আরও দু’দিন আগে। তবে নগরের অলিতে-গলিতে, মোড়ে-মোড়ে আর রাজপথে এখনো ঝুলছে নির্বাচনী পোস্টার।
বিবিসি বাংলা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, দুই সিটির নির্বাচন ঘিরে শহরে কেবল প্লাস্টিক বর্জ্যই উৎপন্ন হয়েছে ২৫০০ মেট্রিক টন। নির্বাচনে প্রার্থীরা তাদের পোস্টার, লিফলেট এবং কর্মীদের পরিচয়পত্রের জন্য এসব প্লাস্টিক ব্যবহার করেছেন।
কিন্তু নির্বাচন শেষে এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য কোথায় ফেলা হবে? এর সুন্দর একটি সমাধান দিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
এই সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা নগরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সংগ্রহ করেছেন নির্বাচনী পোস্টারগুলো।
তারা বলছেন, কাগজের পোস্টার থেকে তারা এতিম শিশুদের জন্য তৈরি করবেন লেখার খাতা; পোস্টার মোড়ানো প্লাস্টিক আর টাঙ্গানোর দড়ি ব্যবহার করা হবে শীতের কাপড় আর চাল-ডাল প্যাকেজিং-এ।
বিদ্যানন্দের ঢাকা বিভাগের প্রধান সালমান খান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, স্কুলের বাচ্চাদের লেখার জন্য প্রচুর পরিমাণ কাগজের প্রয়োজন তাদের।
তিনি বলেন, “বাচ্চারা যদি লেখার কাজে পোস্টারগুলো ব্যবহার করে, তাহলে একদিকে আমরা যেমন নির্বাচনী পোস্টারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি পাবো, অন্যদিকে সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদেরও পড়াশোনার উপকার হবে।”
৪০ জন কর্মী ও শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ‘এক টাকার আহার’ নামে একটি প্রকল্প চালাচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে তারা স্কুলপড়ুয়া সুবিধাবঞ্চিত ৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন মাত্র এক টাকার বিনিময়ে দুপুরে আহার করান।
এ প্রকল্পের বাইরেও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য রয়েছে বিদ্যানন্দ শিশু নিকেতন এবং সম্প্রীতি অনাথালয় এতিমখানা নামে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যানন্দ পরিচালিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।