নিষেধাজ্ঞার পরও থেমে নেই ফেরিতে যাত্রী পারাপার
করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) থেকে নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকার পরেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপার থামছেনা। প্রতিদিনই যাত্রী ও যাত্রীবাহী যানবাহন পারপার হতে দেখা যাচ্ছে এ নৌরুটের ফেরিতে।
আজ সোমবারও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ফেরিতে পদ্মা পার হতে দেখা যায় শতশত যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়িকে। পুলিশের চেকপোস্ট, ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যাত্রীরা ফেরিঘাটে উপস্থিত হচ্ছে; উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি। খাতা-কলমে নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে তৈরি হয়েছে উল্টো চিত্র।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদ ও লকডাউনের সময় বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা দক্ষিণবঙ্গে যাচ্ছে। একই সাথে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরাও অনেকে ঢাকা ফিরছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক বশির আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ৯টি ফেরি চালু রয়েছে। ভোর থেকে যাত্রী ও ছোট গাড়ির চাপ আছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ২ শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি। যারা ঢাকা থেকে চেকপোস্টে চলাচলের কারণ দেখিয়ে ঘাটে আসছে তাদের পার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৯ জুলাই) এক বিজ্ঞতিতে বলা হয়, ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের নির্দেশনা ছিল সেখানে।