নেপালের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নেপালের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সরকার।
রবিবার বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক ) জানায়, নেপাল সর্বশেষ দেশ হিসেবে 'গ্রুপ-এ' দেশগুলোর তালিকায় যুক্ত হয়েছে যেখানে কোনো আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রী নিয়ে ঢুকবে না কিংবা দেশটি থেকে কোনো যাত্রী নিয়ে আসবে না।
আগামীকাল (১০ মে) এই আদেশ কার্যকর হবে এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে বলে বেবিচকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
'গ্রুপ-এ' এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে-ভারত, নেপাল, ইরান, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তিউনিশিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া এবং মঙ্গোলিয়া।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচক জানায়, শুধুমাত্র যেসব বাংলাদেশি নাগরিক গত ১৫ দিনে উল্লিখিত দেশগুলো ভ্রমণ করে বাংলাদেশে এসেছে, তারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ বিবেচনায় অনুমোদন পেলে ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে।
তবে তারা পৌঁছানোর পর অবশ্যই সরকারি অধীনস্থ হোটেলে নিজ খরচে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এছাড়াও, পরবর্তীতে চেক-ইন এর সময় হোটেল বুকিং এর প্রমাণ দেখিয়ে এয়ারলাইনস প্রতিনিধিদের কাছ থেকে যাচাই করে নিতে হবে। এরপরেই সেই যাত্রী দেশে মুক্তভাবে চলাফেরা করার অনুমতি পাবে।
'গ্রুপ-বি'তে থাকা ২৮ টি দেশ হলো- অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নেদারল্যান্ডস, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়ে।
উল্লিখিত বি-গ্রুপের দেশগুলো থেকে আগত যাত্রীদেরও নিজ খরচে সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
গ্রুপ-এ ও বি-এর বাইরের সকল দেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য সতর্কতামূলক 'হোম কোয়ারেন্টিনে' থাকতে বলা হয়েছে এবং সেই সাথে পিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেটও থাকতে হবে।
তবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় থাকা সত্ত্বেও ব্যতিক্রম হিসেবে শুধু মধ্যপ্রাচ্যের ৩টি দেশ (কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত) থেকে আগতরা ৩ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকবে। বাকি ১১ দিন নিজেদের স্বাস্থ্য অবস্থার উপর ভিত্তি করে তারা হোম কোয়ারেন্টিন কিংবা আইসোলেশনে থাকবে।