পাটুরিয়া ঘাটে লাশবাহী ফেরিতে মানুষের ঢল
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। তবে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য সীমিতভাবে চলাচল করছে দুইটি ফেরি।
এসব ফেরিতেই ইচ্ছেমতো নৌরুট পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা। তবে শুধু যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি কোন ফেরি। অর্থাৎ লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের।
সোমবার (১০ মে) সকালে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এমন চিত্রের দেখা মিলে। সকাল সোয়া ১০ টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে ছোট বড় মিলে মোট সাতটি ফেরি। প্রতিটি ফেরিতে পারাপার হয়েছে অন্তত কয়েক'শ ঘরমুখো যাত্রী।
এদিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বারবারিয়া ও সিংগাইর উপজেলার ধল্ল্যা এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির চেকপোস্ট রয়েছে। একই রকমের চেকপোস্ট রয়েছে ফেরিঘাটের ৮ কিলোমিটার আগে মহাসড়কের টেপড়া এলাকায়। কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘাট এলাকায় আসতে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আলাপ হলো বরিশালমুখী যাত্রী সফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে বলেন, "বছরে দুইবার বাড়ি যাওয়া হয়। আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়।" তাই কষ্ট করে হলে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।
শিরিন সুলতানা নামের এক যাত্রী বলেন, "কর্মস্থলের ব্যস্ততায় সারাবছর গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়না। এছাড়া প্রতি বছরই নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই বাড়ি যেতে হয়। এবারও তার ব্যক্তিক্রম নয়।" তবে সাধ্যানুযায়ী স্বাস্থ্য সচেতন হয়েই গ্রামের বাড়ি যাত্রা করেছেন বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, "ফেরিঘাট এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থানা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। ঘাট এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, "পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৫টি ফেরি রয়েছে। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় জরুরি পরিষেবার জন্য ২/৩টি ফেরি চলাচল করছে।" লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ঘরমুখো কিছু যাত্রী নৌরুট পারাপার হচ্ছে বলে জানান তিনি।